ভুয়া খাতে শিক্ষায় লুট ২১৫ কোটি টাকা

September 3, 2020

নানা ধরনের খাত দেখিয়ে সরকারি ও বেসরকারি বেশকিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান ও পরিচালনা পর্ষদ সরকারের ২১৫ কোটি ৫৪ লাখ ১৩ হাজার ৪৩৩ টাকা উত্তোলন করে হাতিয়ে নিয়েছে। এসব খাতে কোনো টাকাই ব্যয় করা হয়নি। এমনকি বহু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কোনো খাতই নেই। পুরো টাকাটাই হাতিয়ে নিয়েছেন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানসহ সংশ্লিষ্টরা।

মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদফতরের ২০০৯-২০১০ হতে ২০১৯-২০২০ অর্থ বছর পর্যন্ত ২২ হাজার ৯৯০টি সরকারি-বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিদর্শন ও নিরীক্ষা এবং তদন্ত কার্যক্রমে এই তথ্য বেরিয়ে এসেছে।

বুধবার জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত সরকারি প্রতিশ্রুতি সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির ১৩তম বৈঠকে উত্থাপিত এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়। কমিটি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান/ব্যক্তির অবৈধ ও বিধিবহিভর্‚তভাবে উত্তোলিত বিপুল পরিমাণ এই টাকা আদায়ে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রকের মাধ্যমে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে নিরীক্ষা করার জন্য নির্দেশ দেয়। সেইসাথে এই অপরাধে জড়িত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণেরও সুপারিশ করে।

কমিটির সভাপতি অধ্যাপক আলী আশরাফের সভাপতিত্বে কমিটির সদস্য মুজিবুল হক, গোলাম মোহাম্মদ কাদের এবং আবদুল মান্নান বৈঠকে অংশ নেন। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ, কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব দ্বয়, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং আইএমইডির অতিরিক্ত সচিব, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য, বিভিন্ন সংস্থাপ্রধানসহ জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

সংসদ সচিবালয় জানায়, বৈঠকে একাদশ জাতীয় সংসদে প্রথম অধিবেশন হতে সম্প্রতি সমাপ্ত অধিবেশন পর্যন্ত সংসদের ফ্লোরে প্রধানমন্ত্রী, শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীদের দেয়া প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন অগ্রগতি, শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় গৃহীত বিভিন্ন প্রকল্পের বিবরণ এবং বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ (আইএমইডি) কর্তৃক শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপস্থাপিত বিভিন্ন প্রকল্পের বাস্তবায়ন অগ্রগতি সম্পর্কে মতামত প্রদানসহ বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।

কমিটি উচ্চ শিক্ষার গুণগত মানোন্নয়নে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের করণীয় সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব/মতামত প্রদানসহ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে তদারকি বৃদ্ধির জন্য সুপারিশ করে। জনপ্রতিনিধি, স্থানীয় প্রশাসন ও অভিভাবকদের সহায়তায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ছাত্র/ছাত্রীর উপস্থিতিসহ শিক্ষকদের শতভাগ উপস্থিতি নিশ্চিতকরণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণেরও সুপারিশ করা হয় বৈঠকে।

খবর সারাবেলা / ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২০ / এমএম