বাংলা নববর্ষের আনন্দ হোক ঘরে বসে : জ্যোতিষরাজ লিটন দেওয়ান
নতুন আরো একটি বছর পা দিল বাঙালি। আজ পহেলা বৈশাখ ১৪২৭। তবে করোনার কারণে এবারের বাংলা নববর্ষে নিয়েছে নতুন মোড়। এবারের বৈশাখে নিজেকে ঘরে আবদ্ধ রেখে সবাইকে সুস্থ রাখার কথা উচ্চারিত হচ্ছে দেশের প্রতিটি প্রান্তে। আর নতুন বছর বরাবরই নিয়ে আসে নতুন সম্ভাবনা। তাই এবারের নতুন বছর, বাংলা সালের প্রথমদিন, পহেলা বৈশাখের আনন্দ ঘরে বসেই উদযাপন করার অনুরোধ করেছেন জ্যোতিষরাজ লিটন দেওয়ান চিশতী।
জ্যোতিষরাজ লিটন দেওয়ান চিশতী আরো বলেন, ‘বাংলাদেশসহ বিশ্বের বাঙালি করোনা মহামারি থেকে দ্রুত মুক্তির প্রত্যাশা আজকের এই দিনে। তবে বাংলা নববর্ষের আনন্দ হোক ঘরে বসে। পরিবারের সবাইকে নিয়ে আনন্দ উৎসব মাতুন। বাসা-বাড়িতেই আয়োজন করুন বৈশাখ পালনের। সবাই বাসাতে আয়োজন করুন মুড়ি, মুড়কি, বাতাশা, মৌসুমি ফল, বাঙালি খাবারের। নববর্ষের আনন্দ নিজের পরিবারের সঙ্গে ভাগাভাগি করুন। বর্তমানে অকারণে ঘরের বাইরে না যাওয়াই ভালো। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কথা গুরুত্ব দিয়ে এবং আমরা আমাদের কথা, পরিবারের কথা এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে নিজেকে রক্ষা করতে বাসাতে থাকি। সেটিই হবে আমাদের বেঁচে থাকার সনদ। আর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য সবাইকে বেশি বেশি দোয়া করতে হবে, কারণ তার সুস্থ্য থাকা এখন সবচেয়ে বেশি জরুরি। তিনি সুস্থ্য থাকলেই পুরো দেশ ও জাতি সুস্থ্য থাকবে।’
তিনি বলেন, ‘পহেলা বৈশাখের সূর্যের নতুন আলোর সঙ্গে আজকের নতুন বছরে আমরা দ্রুত ভাইরাস মুক্ত হবো কিন্তু স্বাস্থ্যবিধি সবাইকে মানতে চলতেই হবে। মানতে হবে প্রসাশনের আইন। পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী র্যাব, পুলিশ, সেনাবাহিনীকে সাহায্য করতে হবে, তাদের কথা মানবে। আল্লাহ চাইলে শিগগিরই করোনার প্রতিকার খুঁজে পাবো আমরা। দেশও করোনা থেকে মুক্ত পাবে। আল্লাহর ইবাদতে ব্যস্ত এবং তার ওপর ভরসা থাকতে হবে, নামাজ পরতে হবে। ক্ষমা চাইতে হবে। এ ছাড়াও সমাজের বিত্তবানদের বেশি বেশি অসহায়, গবীর মানুষদের পাশে দাঁড়াতে হবে। গবীর মানুষের হোক না মেরে তাদের বেশি বেশি দান করতে হবে। এখানে দান না বলে উপহার সামগ্রী বলা যেতে পারে। উপহার দিতে পারেন অসহায়দের বিত্তবানরা।’
তিনি আরো বলেন, ‘এই সময়টা আমাদের জন্য বড় একটি চ্যালেঞ্জ। হয়তো খুব তাড়াতাড়ি করোনার ভাইরাসের ভাকসিন চলে আসবে আমাদের দেশে। ভাকসিন আসা পর্যন্ত হলেও আমাদের বাসায় থাকতে হবে। কারণ সবাই যুদ্ধ করছি করোনা নামের ভাইরাসের সঙ্গে। আমাদের কয়েকটি পদক্ষেপে ভাইরাসটি থেকে রক্ষা পাবো আমরা। তবে এই ক্রান্তিকালে কারো মনোবল হারালে চলবে না ধর্য্য ধরতে হবে। আল্লাহ অবশ্যই সবাইকে ক্ষমা করে বিপদ-আপদ, রোগ-শোক থেকে পরিত্রাণ করবেন। দূর করবেন অশুভ শক্তি। করোনা পরিস্থিতিতে মসজিদে যাওয়ার পরিবর্তে ঘরে থেকেই ইবাদত করুন। আল্লাহ দরবারে কান্নাকাটি করুন যেন তিনি আমাদের ক্ষমা করেন এবং নতুন বাংলা বছরে আমাদের সৌভাগ্যের খাতা ভরে উঠে।’
খবর সারাবেলা / ১8 এপ্রিল ২০২০ / এমএম