দেশে করোনা মুক্ত হলেন দুই লাখের বেশি মানুষ
দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে সুস্থ হয়েছেন আরও তিন হাজার ৪৪ জন। এ নিয়ে করোনায় দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে দুই লাখ ১ হাজার ৯০৭ জন। এখন পর্যন্ত দেশে করোনা থেকে মোট সুস্থতার হার ৬৪ দশিক ৯৬ শতাংশ।রোববার (৩০ আগস্ট) দুপুরে করোনাভাইরাস নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতরের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
ওই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে আরও এক হাজার ৮৯৭ জনের দেহে। এ নিয়ে দেশে মোট শনাক্ত হলেন ৩ লাখ ১০ হাজার ৮২২ জন। এছাড়া আক্রান্তদের মধ্যে আরও ৪২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ৪ হাজার ২৪৮ জনে।
বাংলাদেশে গত ৮ মার্চ প্রথম করোনা ভাইরাসের রোগী শনাক্ত হলেও প্রথম মৃত্যুর খবর আসে ১৮ মার্চ। দিন দিন করোনা রোগী শনাক্ত ও মৃতের সংখ্যা বাড়ায় নড়েচড়ে বসে সরকার। ভাইরাসটি যেন ছড়িয়ে পড়তে না পারে সেজন্য ২৬ মার্চ থেকে বন্ধ ঘোষণা করা হয় সব সরকারি-বেসরকারি অফিস। কয়েক দফা বাড়িয়ে এ ছুটি ৩০ মে পর্যন্ত করা হয়। ছুটি শেষে করোনার বর্তমান পরিস্থিতির মধ্যেই ৩১ মে থেকে দেশের সরকারি-বেসরকারি অফিস খুলে দেয়া হয়। তবে বন্ধ রাখা হয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।
এদিকে বিশ্বখ্যাত জরিপ সংস্থা ওয়ার্ল্ডওমিটারের নিয়মিত পরিসংখ্যানে (বাংলাদেশ সময় সোমাবার -৩১ আগস্ট, ২০২০) বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বের ২ লাখ ২৭ হাজার মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এর আগের দিন আক্রান্ত হয়েছিলেন ২ লাখ ৫৬ হাজার ১৮৭ জন মানুষ। এতে করে সংক্রমিতের সংখ্যা ২ কোটি ৫৩ লাখ ৮২ হাজার ৮৫০ জনে দাঁড়িয়েছে। নতুন করে প্রাণ গেছে ৪ হাজার ৫৮৮ জনের। এ নিয়ে প্রাণহানি ৮ লাখ ৫০ হাজার ৫৪৪ জনে ঠেকেছে। আর সুস্থতা লাভ করেছেন পৌনে ২ কোটি রোগী। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় বেঁচে ফিরেছেন ২ লাখের বেশি ভুক্তভোগী।
এখন পর্যন্ত ইউরোপের কয়েকটি দেশ ও উৎপত্তিস্থল চীনে নিয়ন্ত্রণে ভাইরাসটি। তবে দেশগুলো স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরলেও মুক্ত হচ্ছে না পুরোপুরি। এখনও প্রতিদিনই কমবেশি সংক্রমণ ও প্রাণহানির ঘটনা ঘটছে। করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। যেখানে এখন পর্যন্ত ৬১ লাখ ৭৩ হাজারের বেশি মানুষ ভাইরাসটির শিকার হয়েছেন। এর মধ্যে না ফেরার দেশে ১ লাখ ৮৭ হাজার ২২৪ জন।
ব্রাজিলে সংক্রমিতের সংখ্যা বেড়ে ৩৮ লাখ ৬২ হাজারের কাছাকাছি। প্রাণহানি বেড়ে ১ লাখ ২০ হাজার ৮৯৬ জনে ঠেকেছে। সংক্রমণে তিনে থাকা দক্ষিণ এশিয়ার দেশ ভারতে ৩৬ লাখ ১৯ হাজার ১৬৯ জন প্রাণঘাতী এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। প্রাণহানি বেড়ে ৬৪ হাজার ৬১৭ জনে ঠেকেছে।
রাশিয়ায় সংক্রমিতের সংখ্যা ৯ লাখ ৯০ হাজারের বেশি। বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম দেশটিতে এখন পর্যন্ত ১৭ হাজার ৯৩ জন মানুষের মৃত্যু হয়েছে করোনায়। পেরুতে আক্রান্ত ৬ লাখ ৪৭ হাজার ১৬৬। যেখানে মৃতের সংখ্যা ২৮ হাজার ৭৮৮ জন। আফ্রিকার দেশ দক্ষিণ আফ্রিকায় সংক্রমিতের সংখ্যা ৬ লাখ সাড়ে ২৫ হাজারের অধিক। আর মৃত্যু হয়েছে ১৪ হাজার ২৮ জনের। কলম্বিয়ায় শনাক্ত হয়েছে ৬ লাখ ৭ হাজার ৯৩৮ জনের দেহে। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ১৯ হাজার ৩৬৪ জনের।
উত্তর আমেরিকার দেশ মেক্সিকোয় আক্রান্ত ৫ লাখ ৯৫ হাজার ৮৪১ জন। এখন পর্যন্ত সেখানে প্রাণ গেছে ৬৪ হাজার ১৫৮ জন মানুষের। নিয়ন্ত্রণে আসা স্পেনে আক্রান্ত বেড়ে ৪ লাখ ৫৫ হাজার ৬২১ জনে দাঁড়িয়েছে। প্রাণ গেছে সেখানে ২৯ হাজার ১১ জনের। চিলিতে সংক্রমণ ৪ লাখ ৯ হাজার ৯৭৪। এর মধ্যে ১১ হাজার ২৪৪ জনের প্রাণ কেড়েছে করোনা। আর্জেন্টিনায় ৪ লাখ ৮ হাজার ৪২৬ জনের দেহে। প্রাণহানি হয়েছে ৮ হাজার ৪৫৭ জনের।
মধ্যপ্রাচ্যের ইসলামী প্রজাতান্ত্রিক দেশ ইরানে করোনার শিকার ৩ লাখ প্রায় ৭৩ হাজার। প্রাণহানি ঘটেছে ২১ হাজার ৪৬২ জনের। যুক্তরাজ্যে সংক্রমিতের সংখ্যা ৩ লাখ ৩৪ হাজারে পৌঁছেছে। যেখানে মৃত্যু হয়েছে ৪১ হাজার ৪৯৯ জন মানুষের। সৌদি আরবে এখন পর্যন্ত করোনা রোগীর সংখ্যা ৩ লাখ প্রায় ১৪ হাজার। এর মধ্যে প্রাণ হারিয়েছেন ৩ হাজার ৮৭০ জন।
খবর সারাবেলা / ৩১ আগস্ট ২০২০ / এমএম