২৩ মাস পর পর্যটকদের জন্য সীমান্ত খুলছে অস্ট্রেলিয়া
করোনায় সংক্রমণের হার নিম্নগতি হওয়ার কারণে দীর্ঘ ২৩ মাস পরে পর্যটকদের জন্য সীমান্ত খুলে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে অস্ট্রেলিয়ার সরকার।সোমবার দেশটির মন্ত্রিপরিষদের জাতীয় নিরাপত্তা কমিটির এক সভায় আগামী তিন সপ্তাহের মধ্যে সীমান্ত খুলে দেওয়ার বিষয়ে আলোচনা হবে।এর আগে গত রবিবার অস্ট্রেলিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কারেন অ্যান্ডরুজ বলেন, ‘শুরুতে ‘করোনার টিকাগ্রহণকারী এবং ব্যবসায়ীদের অগ্রাধিকার’ দেওয়া হবে। আর ফেডারেল সরকার সীমান্ত খুলে দেওয়ার বিষয়ে কাজ করছে।’
‘‘আমরা সীমান্ত খুলে দেওয়ার আনুষ্ঠানিক প্রস্তুতি শুরু করেছি। এ বিষয়ে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলব। তাদের কাছ থেকে ইতিবাচক সাড়া পেলে সীমান্ত খোলার কাজ আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু করব।’’এছাড়া রবিবার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসনও পর্যটকদের জন্য আন্তর্জাতিক সীমান্ত উন্মুক্তের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।সীমান্ত খুলে দিলে তা হাসপাতালগুলোর উপর কী ধরনের প্রভাব ফেলবে তা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন বলেও জানান মরিসন।
গত ১ নভেম্বর থেকে করোনার টিকাগ্রহণকারী অস্ট্রেলিয়ার নাগরিকরা দেশটির সীমান্তে ভ্রমণ করতে পারছেন। এছাড়া ডিসেম্বরের মাঝামাঝি থেকে দক্ষ অভিবাসী এবং বিদেশি শিক্ষার্থীরাও সীমান্তে যাওয়ার অনুমতি পেয়েছেন।অস্ট্রেলিয়ায় করোনায় সংক্রমণের হার নিম্নগতি হওয়ার কারণে কম গুরুত্বপূর্ণ যেমন-ছুটি ইত্যাদি বিষয়ে গুরুত্ব দিচ্ছে দেশটির সরকার।ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত দেশটিতে ৯০ ভাগের বেশি মানুষ করোনার টিকা গ্রহণ করেছেন এবং ৮৮ লাখেরও বেশি মানুষকে বোস্টার ডোজ দেওয়া হয়েছে।
২০২০ সালের মার্চ মাসে করোনা সংক্রমণের হার বৃদ্ধির আশঙ্ক্ষায় বিদেশী নাগরিকদের জন্য অস্ট্রেলিয়ার সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়া হয়। দীর্ঘ সময় আন্তর্জাতিক সীমান্ত বন্ধ থাকার কারণে দেশটির পর্যটন খাতে বিরাট ক্ষতি হয়েছে। সীমান্ত খুলে দেওয়ার ঘোষণায় পর্যটন খাতের সাথে জড়িত ব্যবসায়ীরা নতুনভাবে সবকিছু শুরুর পরিকল্পনা করছেন।
খবর সারাবেলা / ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২ / এমএম