ধূমপান কেন বাড়ায় করোনা ঝুঁকি

ধূমপান করলেই শুধুমাত্র করোনা ঝুঁকিতে থাকবেন, বিষয়টি এমন নয়। কোভিড সংক্রমণ ধূমপায়ী-অধূমপায়ী সবারই হতে পারে। তবে ধূমপায়ীদের কোভিড সংক্রমণের ঝুঁকি অন্যদের তুলনায় খানিকটা বেশি।কারণ, ধূমপায়ী ব্যক্তিরা অন্যদের চেয়ে বেশি নাক-মুখ স্পর্শ করে থাকেন। ধূমপান করতে গিয়ে মাস্ক খুলতে হয়। তাই সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা যেমন বেশি তেমনি ধূমপায়ীদের কোভিড জটিলতার আশঙ্কাও অধূমপায়ীদের তুলনায় তিন গুণ বেশি। মনে করিয়ে দেওয়া প্রয়োজন যে, করোনায় ধূমপায়ী রোগীদের মৃত্যুহারও বেশি।

যারা ধূমপান করেন তাদের ফুসফুসে যে ছোট ছোট চুলের মতো সিলিয়া থাকে, সেগুলো নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সতর্ক করেছিল, করোনাভাইরাস সংক্রমণের রিস্ক-ফ্যাক্টর হতে পারে সিগারেট ও তামাকজাত দ্রব্য। কারণ ধূমপানে ফুসফুস দুর্বল হয়। যাদের কো-মর্বিডিটি আছে অন্যান্যদের তুলনায় তাদের যেকোন ধরনের ভাইরাস বা ব্যাকটিরিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই করার ক্ষমতা কম থাকে। শ্বাসনালীটা ঠোঁটের মতোই নরম। সেই শ্বাসনালীর মধ্যে এমন অনেক কোষ থাকে যেগুলো রোগের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ শক্তি গড়ে তোলে। ঘন ঘন ধূমপান করার ফলে সেই কোষগুলো পুড়ে যায়। ফলে ওই স্থানের প্রদাহ হওয়ার আশঙ্কাও বৃদ্ধি পায় অনেকাংশে। তাই করোনাকালে সুস্থ থাকতে ধূমপান না করাই উচিত।

কোভিড জটিলতায় ধূমপায়ী রোগীদের মৃত্যুহার বেশি নিয়মিত যারা ধূমপান করেন তাদের ফুসফুসে যে ছোট ছোট চুলের মতো সিলিয়া থাকে, সেগুলো নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ে। সিলিয়া মূলত ধুলাবালু, জীবাণু বের করে বা পরিষ্কার করে ফুসফুসকে সুস্থ রাখে। এর নিষ্ক্রিয়তায় জীবাণু ফুসফুসে ঢুকে পড়তে পারে। যার ফলে নিউমোনিয়া, ইনফ্লুয়েঞ্জা, যক্ষ্মার পাশাপাশি করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হওয়ার ঝুঁকিও বেড়ে যায় অনেক বেশি।

ধূমপানের ফলে ধূমপায়ীর রক্তনালিতে পরিবর্তন আসে। করোনা সংক্রমিত হওয়ার পর বিভিন্ন জটিলতার এটিও একটি অন্যতম কারণ। ধূমপায়ীদের কারণে পরিবার ও আশপাশের মানুষের ক্ষতি হতে পারে। ধূমপায়ীর সংস্পর্শে থাকা অধূমপায়ীও পরোক্ষ ধূমপানের শিকার হয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হোন। তাই অতিমারির এ সময়ে নিজে সুস্থ থাকতে এবং পরিবার ও প্রিয়জনকে নিরাপদ রাখতে আজই ধূমপানকে বর্জন করুন।

খবর সারাবেলা / ২২ জানুয়ারি  ২০২২ / এমএম