এক বছরে সর্বোচ্চ পর্যায়ে দেশের মূল্যস্ফীতির হার
দেশে মূল্যস্ফীতির হার গত ১২ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে। খাদ্য ও খাদ্য বহির্ভূত উভয় খাতেই মূল্যস্ফীতির হার বেড়েছে। গেল নভেম্বরে সার্বিক মূল্যস্ফীতির হার দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৯৮ শতাংশে।এর আগে গত বছরের নভেম্বরে ৬ শতাংশ ছাড়িয়েছিল এই হার। ঐ মাসে দেশে মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৬ দশমিক ৪৪ শতাংশ। চলতি বছরে মূল্যস্ফীতির হার উঠা-নামা করলেও ৬ শতাংশের কাছাকাছি আর দেখা যায়নি।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) গতকাল মূল্যস্ফীতির যে হালনাগদ তথ্য প্রকাশ করেছে তাতে দেখা যায়, খাদ্য পণ্যের মূল্যস্ফীতির হারের তুলনায় খাদ্য বহির্ভূত মূল্যস্ফীতি সবচেয়ে বেশি বেড়েছে। নভেম্বরে দেশ খাদ্যে মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৫ দশমিক ৪৩ শতাংশ যা আগের মাস অক্টোবরে ছিল ৫ দশমিক ২২ শতাংশ। নভেম্বরে খাদ্য বহির্ভূত পণ্যে মূল্যস্ফীতির হার দাঁড়িয়েছে ৬ দশমিক ৮৭ শতাংশ যা আগের মাসে ছিল ৬ দশমিক ৪৮ শতাংশ। মূল্যস্ফীতির হার গ্রামের চেয়ে শহরে বেশি লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
বিবিএস এর হিসাবে এক মাসের ব্যবধানে চালের দাম সামান্য কমলেও বেড়েছে আটা, ময়দার দাম। সেইসঙ্গে বেড়েছে চিনি, মসলা, মাংসসহ ভোজ্য তেলের দাম। খাদ্য বহির্ভূত পণ্যের মধ্যে পোশাক পরিচ্ছেদের খরচ বেড়েছে। সেইসঙ্গে পরিবহন খরচসহ খাদ্য বহির্ভূত বিভিন্ন খাতে খরচ বেড়েছে।
সার্বিকভাবে নভেম্বরে দেশের গ্রামীণ অঞ্চলে মূল্যস্ফীতির হার দাঁড়িয়েছে ৬ দশমিক ২০ শতাংশে। যা অক্টোবরে ছিল ৫ দশমিক ৮১ শতাংশ। গ্রামীণ অঞ্চলে নভেম্বরে খাদ্য ও খাদ্য বহির্ভূত পণ্যে মূল্যস্ফীতির হার দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৯০ শতাংশ এবং ৬ দশমিক ৭৮ শতাংশে। যা এক মাস আগেও ছিল যথাক্রমে ৫ দশমিক ৬২ ও ৬ দশমিক ১৭ শতাংশে।
শহর অঞ্চলে নভেম্বরে সার্বিক মূল্যস্ফীতির হার দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৫৯ শতাংশে যা আগের মাসে ছিল ৫ দশমিক ৫০ শতাংশ। নভেম্বরে শহরাঞ্চলে খাদ্য পণ্যে মূল্যস্ফীতির হার দাঁড়িয়েছে ৪ দশমিক ৩৭ শতাংশে যা আগের মাসে ছিল ৪ দশমিক ৩১ শতাংশ। শহর অঞ্চলে খাদ্য বহির্ভূত পণ্যে মূল্যস্ফীতির হার দাঁড়িয়েছে ৬ দশমিক ৯৯ শতাংশে যা আগের মাসে ছিল ৬ দশমিক ৮৯ শতাংশ।
খবর সারাবেলা / ২৭ ডিসেম্বর ২০২১ / এমএম