সামাজিক দূরত্ব মানা হচ্ছে না ব্যাংকগুলোতে
করোনার সংক্রামণ ঠেকাতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার কথা বলা হচ্ছে। অনেক জায়গায় সে সামাজিক দূরত্ব মানা হচ্ছে না। যেসব জায়গায় সামাজিক দূরত্ব মানা হচ্ছে না সেগুলোর মধ্যে ব্যাংক খাত রয়েছে সবচেয়ে এগিয়ে। বিশেষ করে সরকারি ব্যাংকগুলোতে উপচেপড়া ভিড় দেখা যাচ্ছে। এর কারণ হিসেবে অনেক গ্রাহক বলছেন, সরকারি চাকরি যারা করেন তাদের সবার অ্যাকাউন্ট সরকারি ব্যাংকে। এসব চাকরিজীবীসহ সরকারি ব্যাংকের গ্রাহকরা বেতন তোলাসহ নানা কাজে ব্যাংকে আসতে হচ্ছে।
এমন পরিস্থিতিতে ব্যাংক সেবা দিতে গিয়ে বিপাকে পড়েছেন ব্যাংকাররা। তারা বলছেন, বাসা থেকে বের হয়ে কর্মস্থল পর্যন্ত আসতে অনেক ঝক্কিঝামেলা পোহাতে হচ্ছে। আর ব্যাংকে আসার পর সবসময় করোনা-আতঙ্কে কাটাতে হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে নিয়ন্ত্রণে ব্যাংকিং কার্যক্রম চালানোর পক্ষে নন বেশির ভাগ ব্যাংক কর্মকর্তা। এরই মধ্যে বিকল্প পথ খুঁজতে এলাকাভিত্তিক ব্যাংকিং সেবা দিতে রাষ্ট্রীয় ব্যাংকগুলোর পক্ষ থেকে অর্থমন্ত্রণালয় ও গভর্নর বরাবর চিঠি দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
এদিকে এক ব্যাংক কর্মকর্তা করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ায় রাজধানীর মতিঝিলে অগ্রণী ব্যাংকের প্রিন্সিপাল শাখা লকডাউন করা হয়েছে।করোনা পরিস্থিতিতে ব্যাংক কর্মীদের নিরাপত্তায় ১১ দফা দাবি জানিয়েছে স্বাধীনতা ব্যাংকার্স পরিষদ সোনালী ব্যাংক লিমিটেড। সংগঠনের সভাপতি আলাউদ্দিন তুষারের পাঠানো বিবৃতিতে বলা হয়েছে, প্রতিদিন ব্যাংক গ্রাউন্ডে শতশত গ্রাহক জড়ো হচ্ছেন সেবা নিতে। তাদের অনেকেই মানছেন না সামাজিক দূরত্বের নিয়মাবলী। ফলে মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকিতে রয়েছেন লাখ লাখ সাধারণ গ্রাহক ও কয়েক লাখ ব্যাংককর্মী।
সামাজিক দূরত্ব যথাযথভাবে পরিপালনে সহায়তা দানে খোলা রাখা ব্যাংক শাখাগুলোতে জরুরি ভিত্তিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিয়োজিত করা। সীমিত পরিসরে অর্থাৎ শুধু নগদ টাকা উত্তোলন, জমা ও বৈদেশিক রেমিট্যান্সের মধ্যেই ব্যাংকিং সেবা সীমিত রাখা। এটিএম কার্ডধারী গ্রাহকদের চেকের মাধ্যমে টাকা উত্তোলনের সুযোগ বন্ধ করে অনলাইনমুখী সেবার প্রতি উত্সাহিত করা। ব্যাংকারদের যাতায়াতের ব্যবস্থা করা। ব্যাংকারদের ঝুঁকিভাতা দেওয়ার মতো ১১টি দাবি জানিয়েছে এ সংগঠন।
খবর সারাবেলা / ১০ এপ্রিল ২০২০ / এমএম