সাইনোসাইটিস প্রতিরোধে করণীয়
নাক ও চোখের চারপাশে হাড়ের ভেতরের বায়ুপূর্ণ কুঠুরিকে সাইনাস বলা হয়। যখন এই সাইনাসগুলোতে প্রদাহ হয়- তখন তাকে বলা হয় সাইনোসাইটিস। আইটিস অর্থ ইনফ্লামেশন। প্রধান সাইনাসগুলো জোড়ায় জোড়ায় থাকে।
সাইনাসে প্রদাহ হলে নাক দিয়ে সর্দি পড়তে পারে, মাথাব্যথা করতে পারে। সাইনাসের মধ্যে পুঁজ জমতে পারে, টিউমার হতে পারে ইত্যাদি।
যদি কারও সাইনোসাইটিস ১২ সপ্তাহের বেশি সময় কাল সমস্যা করে তখন তাকে ক্রনিক (দীর্ঘমেয়াদি) সাইনোসাইটিস বলা হয়। এই সমস্যায় নাক বন্ধ হয়ে যেতে পারে, মাথা ধরা, মাথাব্যথা করতে পারে।
সাধারণত ভাইরাস ও ব্যাক্টেরিয়াজনিত কারণে সাইনাসজনিত সমস্যা হয়ে থাকে। এ ছাড়া ফাংগাশ, অ্যালার্জিজনিত কারণেও সাইনোসাইটিস সৃষ্টি হয়।
সাইনোসাইটিস প্রতিরোধে করণীয়
১. দীর্ঘমেয়াদি এই রোগে ভুগলে আপনাকে কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে। ঠাণ্ডা খাওয়া, ঠাণ্ডা লাগানো নিষেধ। রাস্তাঘাটে চলাফেরার সময় এমনকি কর্ম ক্ষেত্রে যদি ধুলাবালির প্রকোপ থাকে, সে ক্ষেত্রে সার্জিক্যাল মাস্ক ব্যবহার করবেন। এ ছাড়া বাড়িতে লোমশ গৃহপালিত জীবজন্তু পোষা যাবে না।
২. সুতির কাপড় ব্যবহার করতে হবে। কার্পেট ব্যবহার করা যাবে না। কেরোসিন বা লাকড়ির চুলা ব্যবহার করা যাবে না।
৩. সুষম ও পুষ্টিকর খাবার আর বিশুদ্ধ পানি পান করতে হবে।
৪. ধূমপান করা যাবে না।। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন পরিবেশ বজায় রাখতে হবে।
৫. প্রতিদিন ব্যায়াম, খেলাধুলা, কায়িক পরিশ্রম করা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী।
৬. যে কোনো স্বাস্থ্য সমস্যায় চিকিৎসকের পরামর্শ ব্যতিরেকে ওষুধ সেবন করবেন না।
এর পরও যদি সাইনোসাইটিস থেকে মুক্তি না মেলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
লেখক:
সহকারী অধ্যাপক
বক্ষব্যাধি মেডিসিন বিভাগ
ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল
খবর সারাবেলা / ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২০ / এমএম