সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধে মতবিনিময়ে ৬৫ এনজিও প্রধান
৬৫ এনজিও প্রধান অংশগ্রহণে যশোরে মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধে করণীয় বিষয়ে সচেতনতামূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শহরের ব্র্যাক লার্নিং সেন্টারে এনজিও বিষয়ক ব্যুরো ও বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের উদ্যোগে শনিবার সকালে এই সভার আয়োজন করা হয়।
এতে বৈদেশিক অনুদানে পরিচালিত খুলনা বিভাগের ৬৫টি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার (এনজিও) নির্বাহী প্রধান ও হেড অব ফাইন্যান্স অংশ নেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের ডেপুটি হেড ইস্কান্দার মিয়ার সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এনজিও বিষয়ক ব্যুরোর মহাপরিচালক ও অতিরিক্ত সচিব কেএম আব্দুস সালাম।
তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক ও দেশীয় পর্যায়ে মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধে বাংলাদেশ ইতিবাচক অবস্থান রয়েছে। এই অবস্থান ধরে রাখার জন্য এনজিও প্রতিষ্ঠানসমূহকে বাংলাদেশে প্রচলিত মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ ও সন্ত্রাসে অর্থায়নবিরোধী আইন যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে। মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন অনুযায়ী এনজিওসহ মোট ১৬ ধরনের প্রতিষ্ঠানকে রিপোর্টিং এজেন্সির আওতাভুক্ত করা হয়েছে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট এনজিওসমূহকে সর্বদা সতর্ক ও সচেতন থেকে সরকারের ভিশন ২০৪০ সফল করতে হবে।
অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের প্রধান ও এশিয়া প্যাসিফিক গ্রুপ অন মানিলন্ডারিংয়ের কো-চেয়ার আবু হেনা মোহাম্মদ রাজী হাসান, বিশেষ অতিথি ছিলেন যশোরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ আবুল লাইছ। অনুষ্ঠানে এনজিও বিষয়ক ব্যুরো ও বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সভায় মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২ (সংশোধনী ২০১৫), সন্ত্রাসবিরোধী আইন ২০০৯ (সংশোধনী ২০১৩), বৈদেশিক অনুদান (স্বেচ্ছাসেবামূলক কার্যক্রম) রেগুলেশন আইন, ২০১৬ এবং এনজিও অ্যাফেয়ার্স ব্যুরো ও বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট কর্তৃক বিভিন্ন সময়ে জারিকৃত সার্কুলাসমূহের প্রয়োগ নিয়ে আলোচনা করা হয়।
একই সঙ্গে এনজিও প্রতিষ্ঠানসমূহকে মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধে সর্বদা সচেতন থাকার বিষয়ে দিকনির্দেশনা প্রদান করা হয়।
খবর সারাবেলা/২০/ অক্টোবর ২০১৯ /এসএম