লিখতে হলে জানতে হয় জীবন-জীবিকার নানা পথ

যদি এ জাতীয় প্রশ্নের মুখোমুখি হই। তখন মনে হয় আসলেই কী লিখছি আমি! কী নিয়ে লিখছি! ভালো কিছু লিখছি তো? যা লিখছি, অন্যের কাজে আসবে? তাহলে জেনে নেই মানুষ কেন লিখে? আমি কেন লিখি? সেক্ষেত্রে মানুষ কেন লিখে পুরোপুরি বলতে না পারলেও আমি কেন লিখি বলতে পারব। আসলে আমি লিখি কারণ আমি পড়ি। যদি না পড়তাম হয়ত লিখা হতো না।

আমি যখন চাঁদকে নিয়ে পড়াশোনা করি, চাঁদ সম্পর্কে জানি তখন নিজের অজান্তে চাঁদের প্রতি এক ধরনের আকর্ষণ অনুভব করি। সেক্ষেত্রে চাঁদনি রাতে একাকী সংগোপনে তাকিয়ে চাঁদকে দেখি। যখন তারাকে পড়ি তখন বিশাল আকাশে তারার সৌন্দর্য খুঁজি।

আর নদীকে পড়লে নদীর কুল কুল ধ্বনিতে মন ব্যাকুল হয়। চোখ দুটো খুঁজে বহমান নদীর গতিপথ, পালতোলা নৌকা, মাঝিমাল্লার কণ্ঠে ভাটিয়ালি সুরের গান। আসলে লিখতে হলে জানতে হয় জীবন-জীবিকার না পথ এবং তেমনটাই জেনে এসেছি আমি। বহুদিন ধরে, বলা যায় যখন থেকে পড়ি ও লিখি তখন থেকেই।

একটা বয়স ছিল যখন বই পড়া ধরলে শেষ না করে ঘুমাতে পারতাম না। কেমন যেন অস্বস্তি হতো। হোক সেটা গল্প উপন্যাস, ফিকশন, ননফিকশন বা অন্যকিছু। কিন্তু এখন ওভাবে পড়া হয় না। এখন যা প্রয়োজন, যতটুকু প্রয়োজন তাই পড়ি। সেক্ষেত্রে গল্প উপন্যাসের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে না আমার পাঠ অধ্যয়ন।

অতীতে প্রচুর হুমায়ূন, মিলন, মানিক বা সুনিল পড়তাম বা কবিতায় নজরুল, সুকান্ত, জীবনানন্দ, মধুসূদন পড়েছি অথবা গোয়েন্দায় শার্লোক হোমস পড়তাম অনেক উত্তেজনা নিয়ে। এখনো পড়ি, তবে বেছে বেছে। এবং যা পড়ি যা বিশ্বাস করি যা নিয়ে ভাবি তাই হয়ত আমার লেখায় চলে আসে। ভিন্ন আঙ্গিকে, আমার মতো করে। আর এভাবেই যেতে চাই অনেকটা দূর। পাড়ি দিতে চাই সাহিত্যের আঁকাবাঁকা অথচ পঙ্কিল পথ। যে পথে স্বপ্ন থাকবে, থাকবে সৃষ্টির আনন্দ।

খবর সারাবেলা / ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২০ / এমএম