রাজধানীসহ সারাদেশে ছয়টি এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন

September 3, 2019

রাজধানীসহ সারাদেশে ছয়টি এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ (মঙ্গলবার) মিরপুরে অবৈধ গ্যাস সংযোগ প্রদান করে সরকারের রাজস্ব ফাঁকির অভিযোগে অভিযান পরিচালনা করা হয়।

দুদক অভিযোগ কেন্দ্রে (টোল ফ্রি হটলাইন -১০৬) অভিযোগ আসে, মিরপুর -১১তে অবস্থিত বিহারী ক্যাম্পে বেশ কয়েকটি ডায়িং ফ্যাক্টরি অবৈধ গ্যাস সংযোগ নিয়ে ব্যবহার করছে এবং এর ফলে মিরপুরের অধিবাসীরা গ্যাস হতে বঞ্চিত হচ্ছে। তৎপ্রেক্ষিতে প্রধান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক ফাতেমা সরকার-এর নেতৃত্বে একটি এনফোর্সমেন্ট টিম আজ এ অভিযান পরিচালনা করে।

দুদক টিম তিতাস গ্যাস জোন-১২ (মিরপুর) -এর পাঁচজন প্রতিনিধির সমন্বয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে অভিযোগের সত্যতা পায়। টিম দেখে, কোনোরূপ অনুমোদন ছাড়াই পাঁচটি ফ্যাক্টরিতে লাগামহীনভাবে অবৈধ সংযোগের মাধ্যমে গ্যাস ব্যবহার করা হচ্ছে। টিম উক্ত পাঁচ ফ্যাক্টরিতে ব্যবহৃত গ্যাস সংযোগগুলো বিচ্ছিন্ন করে। তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ দুদক টিমকে আশ্বস্ত করে, রাষ্ট্রীয় সম্পদের এ অপব্যবহার রোধে উল্লিখিত এলাকাসমূহে অভিযান অব্যাহত থাকবে।

এদিকে ঝালকাঠি বিআরটিএ অফিসে অভিযান চালিয়ে ব্যাপক অনিয়মের প্রমাণ পেয়েছে দুদক। নানাবিধ অনিয়মের অভিযোগের প্রেক্ষিতে সমন্বিত জেলা কার্যালয়, বরিশাল-এর সহকারী পরিচালক মো. হাফিজুর রহমান-এর নেতৃত্বে আজ এ অভিযান পরিচালিত হয়। সরেজমিন অভিযানে টিম উক্ত দপ্তরে যথানিয়মে পরীক্ষা ব্যতিরেকেই লাইসেন্স প্রদান করা হয়- এরূপ তথ্য পায়। ফলে পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন জেলা (পিরোজপুর, বরিশাল, বরগুনা) থেকেও লাইসেন্স প্রাপ্তির জন্য অনেকে উক্ত অফিসে আসেন। এছাড়াও অর্থের বিনিময়ে অত্যন্ত তড়িঘড়ি করে শিক্ষানবিস লাইসেন্স দেয়া হচ্ছে এমন উদাহরণও পায় দুদক টিম। উক্ত অফিসের ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগের বিষয়ে বিস্তারিত অনুসন্ধানের অনুমোদন চেয়ে কমিশনের প্রতিবেদন উপস্থাপন করবে দুদক টিম।

এদিকে মিটারে প্রদর্শিত বিলের চেয়ে অতিরিক্ত বিল প্রদান করে গ্রাহক হয়রানির অভিযোগে টাঙ্গাইল জেলার ভুয়াপুর উপজেলার বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভলপমেন্ট বোর্ড (বিপিডিবি)-এ অভিযান পরিচালনা করেছে দুদক। দুদক অভিযোগ কেন্দ্র আগত অভিযোগের প্রেক্ষিতে সমন্বিত জেলা কার্যালয় টাঙ্গাইলৎ-এর উপপরিচালক মো. মোস্তাফিজুর রহমানের নেতৃত্বে একটি এনফোর্সমেন্ট গতকাল (২ সেপ্টেম্বর) এ অভিযান পরিচালনা করে।

সরেজমিন অভিযানে অভিযোগের সত্যতা পায় দুদক টিম। টিম জানতে পারে, উক্ত এলাকার অধিকাংশ মিটার রিডারই যথানিয়মে মিটার চেক না করে বাড়তি বিল প্রদান করে, এমনকি কিছু অসাধু মিটার রিডার অবৈধ অর্থের বিনিময়ে বিল কমিয়ে দেন এরূপ অভিযোগও পাওয়া যায়। দুদক টিমের সুপারিশের প্রেক্ষিতে নির্বাহী প্রকৌশলী, বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ, ভুয়াপুর, টাঙ্গাইল অবিলম্বে তদন্ত করে দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে মর্মে নিশ্চয়তা প্রদান করেন।

এছাড়াও স্থানীয় প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে জলমহাল দখলের অভিযোগে, পাসপোর্ট প্রদানের ঘুষ দাবি ও গ্রাহক হয়রানির অভিযোগে ও ভুয়া রেকর্ডপত্র সৃজনপূর্বক দলিল রেজিস্ট্রি করে ঘুষ দাবির অভিযোগে যথাক্রমে সমন্বিত জেলা কার্যালয়, হবিগঞ্জ ও সমন্বিত জেলা কার্যালয়, রংপুর হতে ৩টি এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালিত হয়েছে।

খবর সারাবেলা/ ০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯/ টি আই