যে পাতায় মিলবে চুলের নানা সমস্যার সমাধান

অতিরিক্ত চুল পড়া, খুশকি, তাড়াতাড়ি চুলে পাক ধরাসহ বেশ কয়েকটি সমস্যা সমাধানে ব্যবহার করতে পারেন কারি পাতার প্যাক। এই পাতায় রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, বিটা ক্যারোটিন, অ্যামিনো অ্যাসিড ও প্রোটিন। জেনে নিন চুলের যত্নে কীভাবে ব্যবহার করবেন কারি পাতা।

খুশকি দূর করতে
কারি পাতায় অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টি-ফাঙ্গাল এবং অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান মাথার ত্বককে খুশকি এবং সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে। দইয়ের সাথে কারি পাতা মিশিয়ে পেস্ট বানিয়ে নিন। মিশ্রণটি চুলে লাগিয়ে আধা ঘণ্টা অপেক্ষা করুন।

চুলে পাক ধরা রোধ করতে
সঠিক খাবার গ্রহণের অভাব, অতিরিক্ত মানসিক চাপ নেওয়া, অ্যালকোহল গ্রহণ বা বংশগত কারণে অল্প বয়সে পেকে যেতে পারে চুল।। কারি পাতায় থাকা ভিটামিন বি অকালে চুল পেকে যাওয়া প্রতিরোধ করে এবং চুলে পুষ্টি ও আসল রঙ পুনরুদ্ধারে সহায়তা করে। চুলে কারি পাতা ব্যবহার, চুলের গোড়া শক্তিশালী করে এবং চুল উজ্জ্বল রাখে। এজন্য ২ টেবিল চামচ নারকেল তেল গরম করে ১২টি কারি পাতা ফেলে তেল ঠাণ্ডা হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। ঠাণ্ডা হলে চুলের আগা থেকে গোড়া পর্যন্ত ম্যাসাজ করুন। সারারাত রেখে পরদিন ভিটামিন ই অয়েল ম্যাসাজ করুন চুলে। কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে ভেষজ শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন চুল।

চুলের বৃদ্ধি দ্রুত করে
কিছু কারি পাতা রোদে শুকিয়ে গুঁড়া করে নিন। ১ টেবিল চামচ দইয়ের সঙ্গে মিশিয়ে চুলের আগা থেকে গোড়ায পর্যন্ত লাগান। কিছুক্ষণ পর শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

চুল পড়া কমাতে সাহায্য করে
কারি পাতা চুল পড়া বন্ধ করে এবং চুল পাতলা হওয়া রোধ করে। কিছু কারি পাতা দুধের সাথে মিশিয়ে ঘন পেস্ট তৈরি করুন। এটি চুলে লাগিয়ে এক থেকে দুই ঘণ্টা অপেক্ষা করুন।

হেয়ার টনিক হিসেবে
মাথার ত্বককে ময়শ্চারাইজ এবং পুষ্ট রাখতে সহায়তা করে কারি পাতা। এক মুঠো সতেজ কারি পাতা নিন এবং এতে ২-৩ টেবিল চামচ নারকেল তেল দিয়ে এটি প্যানে ফোটান। কিছুক্ষণের জন্য ফুটতে দিন। মিশ্রণটি ঠাণ্ডা হয়ে গেলে মাথায় ম্যাসাজ করুন।

খবর সারাবেলা / ১৬ নভেম্বর ২০২০ / এমএম