যুক্তরাজ্যে করোনাবিধি শিথিল, সতর্ক থাকার পরামর্শ বরিসের

যুক্তরাজ্যে করোনাবিধির অধিকাংশই সোমবার আনুষ্ঠানিকভাবে তুলে নেয়া হয়েছে। সুতরাং, এখন কতজন ব্যক্তি একসঙ্গে বের হতে পারবে তার নির্দিষ্ট কোনো সীমা নেই। নাইটক্লাবগুলো খুলতে পারবে। পাব ও রেস্টুরেন্টে টেবিল সার্ভিসের প্রয়োজন হবে না। করোনাবিধি তুলে নিলেও যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন তার দেশের সকল নাগরিককে সতর্ক থাকতে বলেছেন।

কিছু জায়গায় মাস্ক ব্যবহারের জন্য সুপারিশ করা হবে। কিন্তু আইন অনুযায়ী তা বাধ্যতামূলক না। যুক্তরাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী সাজিদ জাভিদ গত শনিবার করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এই কারণে তিনি আইসোলেশনে রয়েছেন। তিনি প্রধানমন্ত্রীর সংস্পর্শে এসেছিলেন। যার কারণে বরিস জনসনও আইসোলেশনে রয়েছেন। দেশটিতে করোনারোগীর সংখ্যা আবার বেড়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

যুক্তরাজ্যে বর্তমানে প্রতিদিন ৫০ হাজারের বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন। বিজ্ঞানীরা বলছেন, গ্রীষ্মের শেষের দিকে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ২ লাখ ছাড়িয়ে যেতে পারে। দেশটিতে পূর্ণ বয়স্কদের ৬৮ শতাংশ মানুষ করোনার ভ্যাকসিন নিয়েছে। যার কারণে আক্রান্তের সংখ্যা বেশি হলেও হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা কমবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

রবিবার বিকালে টুইটারে এক ভিডিও বার্তায় বরিস জনসন বলেন, ‘লকডাউনের বাইরে গিয়ে চলার এখনই সঠিক সময়। এখন যদি আমরা এটি না করি তাহলে নিজেদেরকে প্রশ্ন করতে হবে, আমরা কখনো স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরতে পারব কিনা?’

সঙ্গে তিনি যোগ করেন, ‘করোনা শরৎ ও শীত মৌসুমের সুবিধা নিতে পারে। কিন্তু আমাদের সতর্কতার সাথে চলতে হবে। আমাদের মনে রাখতে হবে, ভাইরাস এখনো আছে। ডেল্টা ভ্যারিয়ান্টের প্রকোপ বেড়ে যেতে পারে।’

করোনাবিধি শিথিল করায় এখন দেশটির নাইটক্লাব সহ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোতে এনএইচএস এর কোভিড পাস ব্যবহারে সকলকে উদ্বুদ্ধ করা হবে। সেই সাথে কন্টাক্ট ট্রেসিং ও সেলফ-আইসোলেশনের মতো বিষয়গুলো চালু থাকবে।

খবর সারাবেলা / ১৯ জুলাই ২০২১ / এমএম