বড়দিনের আগেই বাজারে আসছে ফাইজারের টিকা

বিশ্বজুড়ে মহামারি করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঠেকানো যাচ্ছে না কোনো মতেই। একমাত্র টিকা আবিষ্কার করতে পারলেই ভাইরাসটিকে বশে আনা সম্ভব বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। এই অবস্থায় টিকা আবিষ্কারের জন্য আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বিভিন্ন দেশ ও সংস্থা। এর মধ্যে বেশ কয়েকটি টিকা সাফল্যের দ্বারপ্রান্তে। এর মধ্যে একটি ফাইজার ও বায়োএনটেকের টিকা।

টিকাটির তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল সফল। তাতে দেখা গেছে ফাইজার এবং সহায়ক সংস্থার তৈরি টিকা করোনা রোধে ৯৫ শতাংশ সক্ষম। তেমন কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও নেই। এবার এই মার্কিন সংস্থা জানাল, সব ঠিকঠাক চললে বড়দিনের আগেই বাজারে আসবে তাদের টিকা।

মার্কিন ওষুধ উৎপাদনকারী সংস্থা ফাইজারের সঙ্গে এই টিকা তৈরিতে সহায়তা করছে জার্মান সংস্থা বায়োএনটেক। বায়োএনটেক–এর কর্ণধার উগুর শাহিন বললেন, ‘‌সবকিছু ঠিক মতোই এগোচ্ছে। আশা করছি ডিসেম্বরের গোড়াতেই আমরা করোনা টিকা উৎপাদনের ছাড়পত্র পেয়ে যাব। ক্রিসমাসের আগেই বাজারে আনতে পারব।’

ট্রায়ালে দেখা গেছে, সব বয়সের মানুষের ক্ষেত্রে করোনা প্রতিরোধে এই টিকা সমান কার্যকর। সমস্ত জাতির বা বর্ণের মানুষের ক্ষেত্রেও একই রকমভাবে কাজ করছে। বিশেষত প্রবীণদের ক্ষেত্রে খুবই ভালো কাজ দিচ্ছে এই টিকা। জানিয়েছেন উগুর শাহিন।

বিশ্বের ছয়টি দেশের প্রায় ৫০ হাজার স্বেচ্ছাসেবকের ওপর ফাইজার–বায়োএনটেক করোনা টিকার পরীক্ষা হয়েছে। সাম্প্রতিক একটি রিপোর্টে দাবি করা হয়েছিল, কয়েকটি ক্ষেত্রে টিকার প্রথম ডোজ প্রয়োগের পরেই মাথাব্যথা, জ্বর, পেশিতে যন্ত্রণা সহ একাধিক উপসর্গ দেখা গিয়েছে। তবে তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালের পর তেমন সমস্যা হয়নি।

খবর সারাবেলা / ২০ নভেম্বর ২০২০ / এমএম