বেস্ট ইন দ্য ওয়েডিং ইন্ডাস্ট্রি অ্যাওয়ার্ড পেলো ৯ বিজয়ী

জড়োয়া হাউজ এবং আইস টুডে বাংলাদেশের ওয়েডিং ইন্ডাস্ট্রির প্রসারের জন্য প্রথমবারের মতো বার্ষিক পুরস্কার প্রদান শুরু করেছে। রূপচর্চা, বিয়ের অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা এবং বিয়ের ছবি শিল্পের দেশীয় উদ্যোক্তাদের এক ছাদের নীচে নিয়ে এসেছে ‘বেস্ট ইন দ্য ওয়েডিং ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাওয়ার্ড ২০১৯’। ৫ অক্টোবর সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় লা মেরিডিয়ান ঢাকার স্কাই বলরুমে এক জমকালো আয়োজনের মধ্য দিয়ে এবারের অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়।

আয়োজিত এ অনুষ্ঠানের প্রধান দুই ক্যাটাগরিতে বিভিন্ন পুরস্কার প্রদান করা হয়। আইস টুডে স্পেশাল অ্যাওয়ার্ড ক্যাটাগরিতে থাকছে রূপচর্চা শিল্পে নতুন ধারা সৃষ্টিকারী উদ্যোক্তা হিসেবে পারসোনা, দশক সেরা বিয়ের অঙ্গসজ্জাকারী হিসেবে ফারজানা শাকিল’স মেকওভার স্যালন, উদীয়মান রূপচর্চা প্রতিষ্ঠান হিসেবে অরা বিউটি লাউঞ্জ, সবচেয়ে সফল চুল সাজিয়ে হিসেবে বানথাই, অলংকার শিল্পের কিংবদন্তী হিসেবে জড়োয়া হাউজের এমডি বাদল রায়, কনের পোশাক সাজানোয় আজীবন সম্মাননা স্বীকৃতি হিসেবে রিনা লতিফ, কনের সেরা ঐতিহ্যবাহী পোশাকের জন্য বেনারসি কুঠি, পুরুষের পোশাক শিল্পে নতুন ধারা সৃষ্টিকারী হিসেবে মেহরুজ মুনির এবং বিয়ের ছবি শিল্পে বিশেষ অবদানের জন্য প্রীত রেজা ‘বেস্ট ইন দ্য ওয়েডিং ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাওয়ার্ড ২০১৯’ পেয়েছেন।

ব্রাইডাল বিউটি ইন্ডাস্ট্রি, ওয়েডিং প্ল্যানিং অ্যান্ড ডেকোরেশন এবং ওয়েডিং ফটোগ্রাফি ক্যাটাগরিতে জুরি অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়েছে। ব্রাইডাল বিউটি ইন্ডাস্ট্রি ক্যাটাগরিতে বিয়ের সেরা প্রসাধন শিল্পী হিসেবে স্প্লেন্ডর বাই আনিকা বুশরার আনিকা বুশরা, কনের রূপসজ্জায় সেরা সেলুন হিসেবে গালা মেকওভার স্টুডিও অ্যান্ড স্যালন বাই নাভিন আহমেদ অ্যাওয়ার্ড জিতেছে। ওয়েডিং প্ল্যানিং অ্যান্ড ডেকোরেশন ক্যাটাগরিতে অ্যাওয়ার্ড পেয়েছে এনচ্যান্টেড ইভেন্টস অ্যান্ড প্রিন্টস এবং ইভেন্ট টাচ ইন্টারন্যাশনাল। ওয়েডিং ফটোগ্রাফি ক্যাটাগরিতে বেস্ট ওয়েডিং সার্ভিসের জন্য আর্টল্যান্ড, বেস্ট প্রডাকশন হাউজ হিসেবে চেকমেট ইভেন্টস এবং বেস্ট ওয়েডিং ফিল্মমেকার অব দ্য ইয়ার হিসেবে ওয়েডিং ডায়েরী অ্যাওয়ার্ড পেয়েছে।

ওয়েডিং ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে প্রথমবারের মতো বিয়ের আয়োজন সংশ্লিষ্ট অভিজাত, জাঁকজমকপূর্ণ, এবং শৈল্পিক পরিষেবা প্রদানকারীদের মধ্য থেকে প্রকৃত সেরাদের সম্মাননা জানানো হয়েছে। জাঁকালো এই অনুষ্ঠানটি ৫ অক্টোবর সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় লা মেরিডিয়ান ঢাকার স্কাইল কক্ষে লাল গালিচা আনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে শুরু হয়। ঢাকাস্থ যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের উপ-প্রধান জোয়ান ওয়েঙ্গার প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। এ আয়োজনে প্রসাধন সহযোগী হিসেবে ইনগ্লট, রূপসজ্জা সহযোগী হিসেবে অরা বিউটি লাউঞ্জ, ত্বক চর্চা সহযোগী হিসেবে লেজার ট্রিট, ইন্টারনেট বিনোদন সহযোগী হিসেবে বায়োস্কোপ, ওয়াচ সহযোগী হিসেবে মোহাম্মদ অ্যান্ড সন্স, অতিথি সেবা সহযোগী হিসেবে লা মেরিডিয়ান ঢাকা, এবং স্পা সহযোগী হিসেবে এক্সপ্লোর স্পা বাই লা মেরিডিয়ান ঢাকা। অনুষ্ঠানের জনসংযোগ সহযোগী কনসিটো পিআর এবং ফটোগ্রাফি সহযোগী স্টুডিও লরেঞ্জো।

একদল জুরি রূপচর্চা, বিয়ের সাজ-সজ্জা এবং বিয়ের ছবি বিষয়ক মনোনয়নে অংশগ্রণকারীদের মধ্য থেকে বিজয়ীদের নির্বাচন করেন৷ জুরি দলে ছিলেন প্রখ্যাত প্রসাধন শিল্পী ফারজানা শাকিল, কাজী আইসিটি লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও কান্ট্রি ডিরেক্টর জারা মাহবুব, দ্য ডেইলি ঢাকা ট্রিবিউন-এর সম্পাদক জাফর সোবহান, দ্য ডেইলি নিউ এজ-এর ফিচার সম্পাদক কনকা করিম, প্রখ্যাত ফটো সাংবাদিক দীন মোহাম্মদ শিবলি, আইস মিডিয়া লিমিটেডের নির্বাহী পরিচালক নওশিন খায়ের, এবং আইস টু ম্যাগাজিনের ফ্যাশন সম্পাদক গৌতম সাহা।

পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে জড়োয়া হাউজের অলংকার ও অরণ্য, ০২, রোজ বাই নিঝু ও স্প্যাশ-এর পোশাকে একটি ফ্যাশন শো-এর আয়োজন করা হয়েছে। ফ্যাশনের শো-এর সঞ্চালনা করেছেন সুপার মডেল জান্নাতুল ফেরদৌস পিয়া। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন আইস মিডিয়া লিমিটেডের নির্বাহী পরিচালক নওশিন খায়ের।

অসাধারণ এই আয়োজন প্রসঙ্গে অরা বিউটি লাউঞ্জ-এর ডিরেক্টর নিশাত আদনান তারিক বলেন, “বেস্ট ওয়েডিং ইন্ডাস্ট্রি অ্যাওয়ার্ড আয়োজন করা হয়েছে এই ইন্ডাস্ট্রির সেরাদের তুলে আনা এবং এটি দেশের ওয়েডিং প্ল্যানারদের সেরা কাজগুলো উন্মোচন করার জন্য। চমৎকার ভেন্যু থেকে মনোমুগ্ধকর মেকআপ, অসাধারণ ড্রেস, নজরকাড়া জুয়েলারি থেকে স্বপ্নের মতো বিয়ের আয়োজন-এই অ্যাওয়ার্ডের মাধ্যমে সব উঠে আসবে এবং একে অন্যের প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ জুটিদের বিবাহিত দম্পতিতে রূপ দেওয়ার কাজে সেরা নৈপুণ্য প্রদর্শনের মাধ্যমে যারা সহযোগিতা করে তাদের স্বীকৃতি দিবে এই অ্যাওয়ার্ড। আমরা ইন্ডাস্ট্রির ওয়েডিং প্ল্যানার, মেকআপ আর্টিস্ট, ফটোগ্রাফার এবং অন্যান্য শেয়ারহোল্ডারদের মধ্যে একটি সুস্থ প্রতিযোগিতা শুরু করতে চাই, যাতে করে কম সময়ে সেরা মান নিশ্চিত করে সুনাম অর্জনের বিষয়ে আমরা আরও সচেতন হয়ে উঠতে পারি”।

খবর সারাবেলা/ ০৭ / অক্টোবর ২০১৯ / এমএম