বিলাপের বৃত্তবন্দি অবগতি
দিন আসে দিন যায়
দমের ভাণ্ডারে শুধু পলে পলে টান পড়ে,
নিত্যই ঘরে ঘরে তাজা তাজা প্রাণ
শোকের মাতমে ঝরে।
জানি না পৃথিবী আবার বুক ভরে কখন
নিতে পারবে নির্মল বাতাস!
কখন আবার শ্বাসের উপর ফিরে আসবে
মানুষের গভীর বিশ্বাস!
দু:স্বপ্নের হিমাচল ডিঙিয়ে
আবার কি যাওয়া হবে
সোনালি ধানের শীষের অবারিত মাঠে?
আবার কি বর্গীর থাবা থেকে মুক্ত করে
জীবনকে নিতে পারবো নিরাপদ চৌকাঠে?
যেখানে এখনো মাথা কুটে মরে
মানুষের সুখস্বপ্ন-সাধ,
যেখানে সময়ের গর্ভ থেকে নিত্য জন্ম নেয়
মুক্তির সদ্য প্রসূত আর্ত-নিনাদ!
সুখের দিনের আশাকে
এখনো খোকার বুক পকেটে রাখা
জোনাকির মতো আগলে আগলে রাখি,
এখনো ভাবি, তোমার সুখানুভূতির শীৎকার
আর আমার ক্লান্ত তপ্ত প্রশ্বাসের হবে
আগের মতোই বিলীন হওয়া মাখামাখি।
হয়তো আবার বৃষ্টি ফোঁটার শিহরিত ঠোঁটের চুম্বনে
প্রাণের স্পন্দনে নেচে উঠবে
মাঠের বুকের চৈত্রের চৌচির,
নতুন দিনের নকিব লাল মোরগের কুক্কুরুতের সঙ্গে
একাকার হয়ে যাবে
ভোরের পাখিদের কিচিরমিচির।
তবু কি ফিরে আসবে সাগরের উত্তালে ডুবে যাওয়া মাল্লামাঝি কিংবা জীবিকার জালে জড়িয়ে
জীবন দেয়া জেলেরা?
আমরা কি হিসাবের খাতায়
তুলে নেবো সেই খতিয়ান!
কোন তল্লাটে সৌরভ ছড়িয়েছে
অকালে ঝরে যাওয়া উপেক্ষিত বনানীর অনাদৃত ফুলেরা।
আমি এর আগাগোড়া কিছুই জানি না,
জানি না প্রবহমান সোঁতের শেষ পরিণতি,
আমার বোবা কান্নাই আমার ছায়াসঙ্গি;
বিলাপের বৃত্তবন্দি এখন আমার সব অবগতি।
খবর সারাবেলা / ১২ আগস্ট ২০২১ / এমএম