বিদেশে বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের জন্মবার্ষিকী উদযাপন

বিদেশে বাংলাদেশ মিশনগুলোতে বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যদিয়ে বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের ৯১তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন করা হয়েছে। স্থানীয় সময় রবিবার (৮ আগস্ট) বিশেষ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে জন্মবার্ষিকী উদযাপন করা হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতে বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতাসহ পরিবারের শহিদ সদস্যদের আত্মার শান্তি ও মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।

নয়াদিল্লি, ভারত: জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহধর্মিনী বেগম ফজিলাতুন নেসা মুজিবের ৯১তম জন্ম বার্ষিকী উপলক্ষে নয়াদিল্লিস্থ বাংলাদেশ হাই কমিশন আজ বিস্তারিত কমর্সূচি পালন করে। তার জন্মদিন উপলক্ষে নয়াদিল্লীতে অবস্থিত বাংলাদেশ হাই কমিশনের হাই কমিশনার মোহাম্মদ ইমরানসহ দূতাবাসের কর্মকর্তা – কর্মচারী ও স্টাফরা আজ সন্ধ্যায় বঙ্গবন্ধু ও বেগম ফজিলাতুন নেসা মুজিবের প্রতিকৃতিতে ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। দূতাবাসের বঙ্গবন্ধু হলে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাণী পাঠ করে শোনানো হয়।

টোকিও: দূতাবাসের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এই আয়োজনে বক্তব্য রাখেন জাপানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শাহাবুদ্দিন আহমদ। অনুষ্ঠানের পরবর্তী পর্যায়ে বঙ্গমাতা ফজিলাতুন নেছা মুজিবের কর্মজীবন, ত্যাগ ও সংগ্রামের উপর আলোচনা অনুষ্ঠিত হয় এবং তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।

হ্যানয়, ভিয়েতনাম : ‘বঙ্গমাতা সংকটে সংগ্রামে নির্ভীক সহযাত্রী’- প্রতিপাদ্য নিয়ে বঙ্গমাতা ফজিলাতুন নেছা মুজিব-এঁর ৯১তম জন্মবার্ষিকী বাংলাদেশ দূতাবাস, হ্যানয়, ভিয়েতনাম-এ যথাযোগ্য মর্যাদায় এবং ভাবগম্ভীর পরিবেশে স্মরণ করা হয়। দিবসটি স্মরণ ও পালন উপলক্ষে দোয়া ও প্রার্থনা, ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন, রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ, আলোচনা ও স্মরণ সভার আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানের শুরুতে রাষ্ট্রদূত সামিনা নাজ আগত অতিথিদের স্বাগত জানিয়ে বক্তব্য প্রদান করেন। রাষ্ট্রদূত স্মরণ সভায় বঙ্গমাতা ফজিলাতুন নেছা মুজিবের ৯১তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে এই মহিয়সী নারীর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান। তিনি বলেন, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব বাঙালির অহংকার, নারী সমাজের প্রেরণার উৎস। শৈশব থেকেই তিনি ছিলেন সাহসী ও দৃঢ়চেতা। তিনি কেবল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহধর্মিণীই ছিলেন না, বাঙালির মুক্তিসংগ্রামেও তিনি ছিলেন অন্যতম কান্ডারী। বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণের নেপথ্যেও প্রধান প্রেরণাদাত্রী ছিলেন বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব।

রিয়াদ: দূতাবাসের অডিটোরিয়ামে আজ এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী। দূতাবাসের কার্যালয় প্রধান ও মিনিস্টার ড. ফরিদ উদ্দিন আহমদের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন ডিফেন্স এ্যাটাশে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাঈদ সিদ্দিকী।

মালদ্বীপ: পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা করা হয়। দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করে শোনানো হয়। পরে হাই কমিশনের প্রথম সচিব ও চ্যান্সারি প্রধান সোহেল পারভেজ তার স্বাগত বক্তব্যে বঙ্গমাতা ফজিলাতুন নেছা মুজিবের জীবন ও কর্মের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন। প্রধান অতিথি হাইকমিশনার রিয়ার এডমিরাল মোহাম্মদ নাজমুল হাসান তাঁর বক্তব্যে বঙ্গমাতা ফজিলাতুন নেছা মুজিবের সাফল্যময় কর্মজীবনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন।

খবর সারাবেলা / ০৯ আগস্ট ২০২১ / এমএম