বাড়তি ফি নিলে চার শাস্তি

September 9, 2020

একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির সময় দু’দিন বাড়ানো হয়েছে। এবারের নির্ধারিত ভর্তি ফি’র সীমা পুনরায় কলেজ এবং ভর্তিচ্ছুদের জন্য প্রকাশ করা হয়েছে। কোনো প্রতিষ্ঠান বেশি অর্থ গ্রহণ করলে চারটি শাস্তিমূলক ব্যবস্থার মুখোমুখি হতে হবে।

মঙ্গলবার আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব-কমিটি থেকে প্রকাশিত ভর্তি সংক্রান্ত পৃথক দুটি বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়। এতে ভর্তির সময় বৃদ্ধি, ফি ও শিক্ষার্থীদের ভর্তি নিশ্চায়ন বাতিলের কাজে প্রতারিত হওয়ার বিষয়েও সতর্ক করা হয়েছে।

চারটি শাস্তি হচ্ছে : বিধান অনুযায়ী, ভর্তি নীতিমালা না মেনে শিক্ষার্থী ভর্তি করালে সংশ্লিষ্ট কলেজের পাঠদানের অনুমতি বা স্বীকৃতি বাতিলসহ কলেজের এমপিওভুক্তি বাতিল করা হবে। সরকারি কলেজ ও সমমানের প্রতিষ্ঠানের সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে চাকরিবিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেয়া হবে।

ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের কলেজ পরিদর্শক অধ্যাপক ড. হারুন-অর-রশিদ বলেন, ১৩ সেপ্টেম্বর ভর্তি কার্যক্রম শুরু হবে। ইতঃপূর্বে ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ছিল। দু’দিন বাড়িয়ে তা ১৭ সেপ্টেম্বর করা হয়েছে। ভর্তির ফি সম্পর্কে ইতঃপূর্বে প্রকাশিত নীতিমালায় উল্লেখ আছে। কিন্তু ইতোমধ্যে নটর ডেম ও আইডিয়াল কলেজ সম্পর্কে অতিরিক্ত অর্থ ধার্যের অভিযোগ এসেছে।

আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মু. জিয়াউল হক স্বাক্ষরিত ভর্তি ফি সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ভর্তিযোগ্য শিক্ষার্থীদের তালিকা কলেজগুলোকে নোটিশ বোর্ড ও ওয়েবসাইটে প্রকাশের ব্যবস্থা করতে হবে। তাতে ভর্তি ফি, মাসিক বেতন ইত্যাদি উল্লেখ থাকতে হবে।

শিক্ষার্থীদের এসব তথ্য জেনে ভর্তি হওয়ার পরামর্শ দেয়া হয় এতে। বলা হয়, কলেজকে ভর্তিযোগ্য শিক্ষার্থীর মেধাতালিকা প্রকাশ করতে হবে। কোটার শিক্ষার্থীদের উপযুক্ত সনদ দেখে ভর্তি করাতে হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়: মফস্বল বা পৌর (উপজেলা) এলাকার এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো একাদশ শ্রেণিতে শিক্ষার্থী ভর্তিতে সেশন ফিসহ ভর্তি ফি সর্বসাকুল্যে এক হাজার টাকা, পৌর (জেলা সদর) এলাকায় দুই হাজার টাকা এবং ঢাকা মহানগর ছাড়া অন্য মেট্রোপলিটন এলাকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো তিন হাজার টাকার বেশি আদায় করতে পারবে না।

মেট্রোপলিটন এলাকায় অবস্থিত এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তিতে পাঁচ হাজার টাকার বেশি অর্থ আদায় করতে পারবে না। আর এমপিও ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকার আংশিক এমপিওভুক্ত বা এমপিওবহির্ভূত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে উন্নয়ন ও এমপিওবহির্ভূত শিক্ষকদের বেতন-ভাতা দেয়ার জন্য শিক্ষার্থী ভর্তির সময় ভর্তি ফি, সেশন চার্জ ও উন্নয়ন ফিসহ বাংলা মাধ্যমে সর্বোচ্চ সাড়ে সাত হাজার টাকা এবং ইংরেজি ভার্সনে সর্বোচ্চ সাড়ে আট হাজার টাকা নিতে পারবে।

উন্নয়ন খাতে কোনো প্রতিষ্ঠান এবার দেড় হাজার টাকার বেশি আদায় করতে পারবে না। গত বছর এ খাতে ৩ হাজার টাকা ছিল। করোনা পরিস্থিতির কারণে এই ফি কমিয়েছে বোর্ড। এ ছাড়া রেড ক্রিসেন্ট ফি ৪০ শতাংশ কমিয়ে ১২ টাকা করা হয়েছে। কোনো শিক্ষার্থীর পাঠবিরতি থাকলে ও বিলম্বে ভর্তি হলে তাকে ১৫০ টাকা পাঠ বিলম্ব ফি এবং ১০০ টাকা আদায় করা যাবে। সরকারি কলেজগুলোকে পরিপত্র অনুযায়ী ফি সংগ্রহ করতে হবে।

শিক্ষার্থীদের অনুমোদিত ফির অতিরিক্ত কোনো অর্থ না দেয়ার নির্দেশনা দিয়ে সাব-কমিটি বলছে, সব ফি রসিদের মাধ্যমে নিতে হবে। ভর্তিকাজ শেষ হওয়ার পর শিক্ষা বোর্ডের অনুমতি নিয়ে শিক্ষার্থীরা কলেজ, গ্রুপ ও বিষয় পরিবর্তন করতে পারবে। ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্নের সময়ে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করতে হবে।

খবর সারাবেলা / ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২০ / এমএম