বাল্যবিবাহে সহযোগিতার চেষ্টার দায়ে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় কাজিকে

বিয়ের আয়োজন চলছে ধুমধামের সঙ্গে। বরযাত্রীরা চলে এসেছেন, এসেছেন কাজিও। হঠাৎই বিয়েবাড়িতে হাজির হন সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। কনে অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় বন্ধ করে দেওয়া হয় বিয়ে। বাল্যবিবাহে সহযোগিতার চেষ্টার দায়ে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় কাজিকে। সঙ্গে জরিমানা করা হয়েছে বর ও কনের বাবাকেও।

ঘটনাটি ঘটেছে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার খোকশাবাড়ী ইউনিয়নের একটি গ্রামে। আজ রোববার বিকেল পাঁচটার দিকে বিয়েবাড়িতে উপস্থিত হয়ে বাল্যবিবাহ বন্ধ করেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আনিসুর রহমান।

প্রত্যক্ষদর্শী ও গ্রামের লোকজন সূত্রে জানা গেছে, পাশের বেলকুচি উপজেলার শ্যামগাতী গ্রামের মো. শহীদ শেখের ছেলে শামীম শেখের সঙ্গে (২৪) বিয়ে দেওয়া হচ্ছিল ১৬ বছর বয়সী এক কিশোরীর। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে বিষয়টির সত্যতা জানতে পেরে বিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে কাজি আবদুল কাইয়ুমকে ৫০ হাজার টাকা, বর শামীম শেখকে ১৫ হাজার টাকা ও কনের বাবাকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। মেয়ের বয়স ১৮ না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে দেবেন না বলে কনের বাবার কাছ থেকে মুচলেকাও নেওয়া হয় এ সময়। ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে সহায়তা করেন পৌর ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মো. নজরুল ইসলাম ও আনসার ব্যাটালিয়নের সদস্যরা।

জানতে চাইলে সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আনিসুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, আইন ভঙ্গ করে বাল্যবিবাহের আয়োজন যাঁরা করবেন, তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে। এই উপজেলাকে বাল্যবিবাহমুক্ত করতে সবার সহযোগিতাও কামনা করেন তিনি।

খবর সারাবেলা/ ০১ সেপ্টেম্বর ২০১৯/ টি আই