বাংলাদেশে ফ্লাইট বাড়াতে আগ্রহী তুর্কিশ এয়ারলাইন্সের
তুর্কিশ এয়ারলাইন্স ছাড়া ইউরোপ ও আমেরিকার এয়ারলাইন্সের বাংলাদেশে কোনো ফ্লাইট নেই। প্রতিদিন ঢাকা-ইস্তাম্বুল ফ্লাইট পরিচালনা করে এই বিমান সংস্থা। বেশিরভাগ যাত্রী ট্রানজিট। ইউরোপ ও আমেরিকায় যাওয়ার জন্য ইস্তাম্বুল হয়ে যেতে চান অনেকে। তুরস্কের ভৌগোলিক অবস্থান ইউরোপ ও এশিয়া উভয় মহাদেশে হওয়ায় এই পথে ইউরোপ, মধ্যপ্রাচ্য এমনকি যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা যেতে সময় ও খরচ কম।
কর্মকর্তারা বলছেন, তুরস্কের ভিসায় কড়াকড়ি না থাকলে আরও অনেক বেশি যাত্রী পেত এই এয়ারলাইন্স। ইস্তাম্বুলে বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিমানবন্দর নির্মাণ হচ্ছে। এই বিমানবন্দরে বছরে ২০ কোটি যাত্রী চলাচল করতে পারবে। কর্মকর্তারা আশা করেন, ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে ইস্তাম্বুলে এই বৃহৎ বিমানবন্দরটি একটি হাবে পরিণত হবে। তুর্কিশ এয়ার বিশ্বের ৬০ দেশের রাজধানীর সঙ্গে সরাসরি ফ্লাইট পরিচালনা করে থাকে।
চলতি বছরে আট কোটি যাত্রী পরিবহনের লক্ষ্যমাত্রা স্থির করেছে। তুর্কিশ এয়ারলাইন্সের ঢাকা-ইস্তাম্বুল ফ্লাইট খুবই লাভজনক। ইস্তাম্বুলে তুর্কিশ এয়ারের সদর দফতরে বসে বাংলাদেশ থেকে যাওয়া সাংবাদিক প্রতিনিধি দলের সঙ্গে আলাপকালে সংস্থাটির এশিয়া ও দূর প্রাচ্যসংক্রান্ত ভাইস প্রেসিডেন্ট তুঙ্কি ইমিনোগ্লু জানান, গত বছর এই এয়ারলাইন্সটি সাত কোটি ৫০ লাখ যাত্রী বহন করেছে। চলতি বছরে তাদের নিজস্ব ৩৩৫টি এয়ারক্রাফট দিয়ে তুর্কিশ এয়ার আট কোটি যাত্রী বহন করবে বলে লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। তুর্কিশ এয়ার ঢাকার পাশাপাশি চট্টগ্রাম থেকেও ফ্লাইট পরিচালনা করতে চায়।
এই বিমান সংস্থাটি বাংলাদেশের বিমানবন্দরগুলোকে আধুনিকায়ন প্রয়োজন বলে মত প্রকাশ করেছে। তুর্কিশ এয়ারের বাংলাদেশে অবস্থানরত কান্ট্রি ম্যানেজার এমরাহ কারাকা জানান, ‘ঢাকা-ইস্তাম্বুল আমাদের খুবই লাভজনক একটি রুট। এই রুটে আমাদের যাত্রীদের আট শতাংশ মাত্র তুরস্কে আসা যাত্রী। অবশিষ্ট ৯২ শতাংশ যাত্রীই ট্রানজিট। তারা ঢাকা থেকে ইস্তাম্বুল হয়ে ইউরোপ, যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় চলাচল করেন’।
খবর সারাবেলা/ ০৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯/ টি আই