ফের কমল স্বর্ণের দাম
মাত্র আট দিনের মাথায় কমেছে স্বর্ণের দাম। এবার প্রতি ভরিতে দাম কমেছে এক হাজার ৪৫৮ টাকা। শুক্রবার থেকে এই দর কার্যকর হয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)।
বাজুস শুক্রবার সন্ধ্যায় জানায়, নতুন দর অনুযায়ী ভালো মানের অর্থাৎ ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণ কিনতে লাগবে ৭২ হাজার ২৫৮ টাকা। এর আগে ভরি ছিল ৭৩ হাজার ৭১৬ টাকা। ফলে ভরিতে দাম কমেছে এক হাজার ৪৫৮ টাকা।
এর আগে গত ১৩ আগস্ট সোনার দাম ভরিতে সাড়ে তিন হাজার টাকা কমিয়েছিল সমিতি। তার আগে ৬ আগস্ট সোনার দাম বেড়ে ৭৭ হাজার ২১৬ টাকা ভরি হয়, যা দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ।
বাজুস জানায়, সোনার নতুন দর কার্যকর হওয়ায় ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ৭২ হাজার ২৫৮ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেট ৬৯ হাজার ১০৯ টাকা, ১৮ ক্যারেট ৬০ হাজার ৩৬১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির সোনার অলংকারের ভরি বিক্রি হবে ৫০ হাজার ৩৯ টাকায়।
বাজুসের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ কুমার আগরওয়ালার বলেন, গত কয়েক দিনে বিশ্ব বাজারে প্রায় ২৫ ডলারের মতো দাম কমেছে। আন্তর্জাতিক বাজারে সামঞ্জস্য রাখার জন্য সব সময় স্বর্ণের দাম নির্ধারণ করা হয়। এমন অবস্থায় বিশ্ববাজারে দাম কমার কারণে দেশের বাজারেও স্বর্ণের দাম কমানো হয়েছে।
বাজুসের তথ্যমতে, গত জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি মাসে আন্তর্জাতিক বাজারে স্বর্ণের দাম অস্থির হয়ে উঠেছিল। এতে ১৯ ফেব্রুয়ারি দেশে প্রতি ভরি ২২ ক্যারেট স্বর্ণের দাম বেড়ে দাঁড়ায় ৬১ হাজার ৫২৮ টাকা। এটি ছিল ওই সময় দেশের বাজারে স্বর্ণের সর্বোচ্চ দাম। এর আগে দেশে স্বর্ণের দাম সর্বোচ্চ পর্যায়ে উঠেছিল ২০১২ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর। সে সময় প্রতি ভরি ২২ ক্যারেট স্বর্ণের দাম দাঁড়িয়েছিল ৬০ হাজার ৬৫৩ টাকা।
বিশ্ববাজারে অস্বাভাবিক দাম বাড়ার পরিপ্রেক্ষিতে এর আগে সবশেষ বাড়ানো গত ১৩ আগস্ট থেকে কার্যকর হওয়া দাম অনুযায়ী আজকে দুপুর পর্যন্ত ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরিতে স্বর্ণ ৭৩ হাজার ৭১৬ টাকা। ২১ ক্যারেটের স্বর্ণ ৭০ হাজার ৫৬৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের স্বর্ণ ৬১ হাজার ৮১৯ টাকায় ও সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণ বিক্রি ৫১ হাজার ৪৯৭ টাকায় দেশের বাজারে স্বর্ণ বিক্রি হয়েছে।
জ্বর নিয়ে আইসিইউতে ফেরদৌস ওয়াহিদ
প্রচন্ড জ্বর নিয়ে রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের (সিএমএইচ) আইসিইউতে ভর্তি রয়েছেন কণ্ঠশিল্পী ফেরদৌস ওয়াহিদ। এই খবরটি ফেসবুকে শেয়ার করেন আরেক কণ্ঠশিল্পী ফকির আলমগীর। তিনি ফেরদৌস ওয়াহিদের দীর্ঘদিনের বন্ধু।
ফকির আলমগীর লেখেন, ‘পপ গানের কিংবদন্তিতুল্য শিল্পী, আমার বন্ধু, চিরসবুজ তারুণ্যের প্রতীক ফেরদৌস ওয়াহিদ অসুস্থ হয়ে সিএমএইচে ভর্তি আছেন। তার একান্ত সহকারীর সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। প্রথম টেস্টে ফেরদৌসের করোনার রেজাল্ট নেগেটিভ এসেছে। আরেকটি টেস্টের রেজাল্ট পাওয়ার অপেক্ষায়। সতীর্থ শিল্পী, ভক্ত-অনুরাগী, শুভাকাঙ্ক্ষী এবং দেশবাসীর কাছে তার সুস্থতার জন্য দোয়া চাইছি।’
জানা যায়, এক সপ্তাহ ধরে জ্বরে ভুগছেন ফেরদৌস ওয়াহিদ। প্রথম করোনা টেস্টে তার রেজাল্ট নেগেটিভ আসলেও জ্বর কমছে না। তাই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী তাকে সিএমএইচে ভর্তি করা হয়েছে। সেখানে তার আরও একটি করোনা টেস্ট করানো হয়েছে। সেটির ফলাফল আসলেই জানা যাবে শিল্পীর শারীরিক অবস্থা কোন পর্যায়ে রয়েছে।
ফেরদৌস ওয়াহিদকে হাসপাতালে নেয়াসহ সব ধরনের দেখভাল করছেন তার সুযোগ্য ছেলে গায়ক, সুরকার ও সংগীত পরিচালক হাবিব ওয়াহিদ। বাবাকে নিয়ে তিনি ভীষণ ব্যস্ত সময় পার করছেন। যার কারণে তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি।
৪০ বছরেরও বেশি সময় ধরে গানের জগতে রয়েছেন ফেরদৌস ওয়াহিদ। তার কণ্ঠের গানগুলোর মধ্যে ‘এমন একটা মা দে না’, ‘ওরে আমার লক্ষ্মী সোনা আঁখি’, ‘আগে যদি জানতাম’, ‘মা মুনিয়া’, ‘আমি এক পাহারাদার’, ‘শোন ওরে ছোট্ট খোকা’, ‘আমি ঘর বাঁধিলাম’ ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। এছাড়া তিনি সিনেমায় অভিনয় করেছেন। কাজ করেছেন পরিচালক হিসেবে।
খবর সারাবেলা / ২২ আগস্ট ২০২০ / এমএম