দাঁত ভালো রাখবে নিয়মিত স্কেলিং
ওরাল হাইজিন সম্পর্কে আমাদের ধারণা কম থাকায় অজান্তেই দাঁতের ক্ষতি করি বিশ্বের প্রতি ১০০ জনের মধ্যে অন্তত ৯০ জন মুখ ও দাঁতের সমস্যায় আক্রান্ত হন। এর মূল কারণ ওরাল হাইজিন সম্পর্কে আমাদের ধারণা থাকে না। এছাড়া ডেন্টিস্টদের অভাব দেশে ব্যাপক। শহরাঞ্চলে পাওয়া গেলেও গ্রাম অঞ্চলে এই সমস্যা অনেক প্রকট। বিশেষত দেশের অনেকেই দাঁত ও মাড়ির যত্ন নেন না। এখনো দাঁত মাজার ক্ষেত্রে টুথব্রাশের বদলে অন্যকিছু ব্যবহারের নজির আছে।
তাই স্কেলিং সম্পর্কে ভুল ধারণা থাকাটা অস্বাভাবিক না। অনেকেই মনে করেন স্কেলিং করালে দাঁতের এনামেলের সমস্যা হতে পারে। দাঁত ও মাড়ির সংবেদনশীলতা বেড়ে যায়। তাই পানি বা খাবার খাওয়ার সময় দাঁতে শিরশিরে অনুভূত হয়। যেমনটা বলেছিলাম, দেশে যথাযথ চিকিৎসার অভাব থাকায় এমনটা হয়ে থাকে। স্কেলিং করানোর সময় সেবার মান কেমন তা যাচাই না করে গেলে সমস্যা হতেই পারে।
স্কেলিং এর পর অবশ্যই বিশেষ টুথপেস্ট কেনা জরুরি
তবে স্কেলিং করানোর পর ফলস সেনশেসন হওয়াটা খুব স্বাভাবিক। স্কেলিং এর পর দাঁত ও মাড়ি আলগা হয়ে আছে বলে মনে হয়। স্কেলিং এর ফলে দাঁত ও মাড়ির মধ্যে আটকে থাকা খাবার দূর হয়ে এ রকম অনুভূতি হতে পারে। বেশ কদিন পর আবার স্বাভাবিক হয়ে যায় সব।
আমরা জানি, প্লেকের সমস্যা দাঁত ও মাড়ির স্বাস্থ্যের জন্যে ক্ষতিকর। ব্রাশ বা ফ্লস করেও এদের সরানো কঠিন। আল্ট্রাসনিক বা লেজারের সাহায্যে স্কেলিং করানো হলে ব্যথা লাগে না। বরং প্লেক সরে দাঁতের স্বাস্থ্য ভালো থাকে। আর স্কেলিং এর পর অবশ্যই বিশেষ টুথপেস্ট কেনা জরুরি। এতে অস্বাভাবিক অনুভূতি দূর হবে।
খবর সারাবেলা / ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২২ / এমএম