ঢাকা-১৮ উপনির্বাচনে প্রার্থী ক্লিন ইমেজের নেতা শাহজাহান আলী মন্ডল

ঢাকা-১৮ উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী আলহাজ্ব শাহজাহান আলী মন্ডল। তিনি ঢাকা উত্তরের বিমানবন্দর থানা আওয়ামী লীগের বর্তমান সভাপতি।

পাশাপাশি নিজ জেলা জামালপুরে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। একজন ক্লিন ইমেজের নেতা হিসেবে রাজনৈতিক মহলে তার ব্যাপক পরিচিতি রয়েছে। একই সঙ্গে একজন সৎ ও নিষ্ঠাবান ব্যবসায়ী হিসেবে তিনি ব্যবসায়ী মহলে সমাদৃত।

ইতোমধ্যেই ঢাকা-১৮ সহ পাঁচ সংসদীয় আসনের উপনির্বাচনে মনোনয়ন ফরম বিক্রি শুরু করেছে আওয়ামী লীগ। গত রোববার আওয়ামী লীগের সভানেত্রীর ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয় থেকে ঢাকা-১৮ আসনে ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থী হতে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন শাহজাহান আলী মন্ডল। আগামী শুক্রবার মনোনয়ন ফরম জমা দেবেন তিনি।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এবং সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন ছিলেন ঢাকা-১৮ আসনের সাংসদ। গত ৯ জুলাই থাইল্যান্ডের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা গেলে আসনটি শূন্য হয়। ওই আসনে উপনির্বাচনে আলোচনায় এগিয়ে রয়েছেন ২০০৮ সালের সংসদ নির্বাচনে অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুনের সহযোদ্ধা শাহজাহান আলী মন্ডল।

১৯৬৩ সালের ১৫ জানুয়ারি জামালপুরের ইসলামপুরে শাহজাহান আলী মন্ডলের জন্ম। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময়ে পারিবারিকভাবে তার রাজনৈতিক জীবন শুরু হয়। এরপর ১৫ আগস্টের নেপথ্যে যিনি ছিলেন সেই সামরিক স্বৈরাচারী জিয়াউর রহমান এবং স্বৈরশাসক এরশাদের সময়ে

আওয়ামী লীগের পক্ষে সক্রিয়ভাবে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে অংশ নেয়ায় নির্যাতন ও জেল-জুলুমের শিকার হন। কিন্তু ইসলামপুরের নদীভাঙ্গন কবলিত প্রত্যন্ত দ্বীপচরে যার জন্ম, সেই ধ্রীশক্তি-সম্পন্ন অবিচল নেতাকে কোনো আঘাতেই থামিয়ে দেয়া সম্ভব না। অবিচলভাবে আওয়ামী লীগের দলীয় কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে আসছেন তিনি।

শাহজাহান আলী মন্ডল আওয়ামী লীগের প্রতিটি গৌরবময় আন্দোলনে সম্পৃক্ত ছিলেন। ঘাতকের স্লিন্টার এখনো শরীরে বয়ে বেড়াচ্ছেন তিনি। তারপরও পিছপা না হয়ে আওয়ামী লীগের দলীয় ও রাজনৈতিক সব কার্যক্রমে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণের মাধ্যমে ব্যাপক অবদান রেখে চলেছেন তিনি। অনেক ত্যাগ তিতিক্ষা করেছেন এবং করছেন দলের জন্য।

১৯৮২-৮৫ সালে রাজনৈতিক মামলায় তিনি গ্রেফতার হোন এবং কারাবরণ করেন। ২০১৪ সালে বিএনপি জামাতের নৈরাজ্যের বিপরীতে রাতদিন বিরতিহীন পুলিশিং কমিটির সাথে একসঙ্গে কাজ করেন। এ ছাড়া সব অপকর্মের বিরুদ্ধে বিমানবন্দর এলাকায় নিরাপত্তার স্বার্থে দলীয় নেতাকর্মীসহ সকল কার্যক্রম অদ্যাবধি সুষ্ঠভাবে পরিচালনা করছেন।

রাজনৈতিক পরিচয়ের পাশাপাশি শাহজাহান আলী মন্ডল একজন সফল ব্যবসায়ী। ১৯৮৫ সাল থেকে বিমানবন্দর এলাকায় স্থায়ীভাবে বসবাস করে আসছেন তিনি। আমদানি-রপ্তানির ব্যবসায় যুক্ত আছেন দীর্ঘদিন ধরে। এস আর এন্টারপ্রাইজে বিডি (প্রাইভেট) লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। একজন সৎ ও নিষ্ঠাবান ব্যবসায়ী হিসেবে তিনি ব্যবসায়ী মহলে ব্যাপক পরিচিত।

ঢাকা-১৮ আসনের উপ-নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, আমার উদ্দেশ্য দীর্ঘ জীবনের রাজনৈতিক, সামাজিক ও ব্যবসায়িক অভিজ্ঞতার আলোকে দেশ ও মানুষের কল্যাণে কাজ করা। বঙ্গবন্ধু জাতির জনকের সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার সুযোগ্য সৈনিক হিসেবে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বির্নিমানে যথাসম্ভব অবদান রাখা।

দল আমাকে ঢাকা-১৮ আসনে মনোনয়ন দিলে এখনকার আপামার জনগণের সমর্থন নিয়ে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর সাবির্ক জীবন-মান উন্নয়নে তথা সমাজ, দেশ ও বিশ্বের শান্তি, সমৃদ্ধি ও কল্যাণে কাজ করে যাবো।

খবর সারাবেলা / ২০ আগস্ট ২০২০ / এমএম