চুক্তিহীন ব্রেক্সিটের বিরোধিতা মেনে নেয়া হবে না বলে হুঁশিয়ার করেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী
চুক্তিহীন ব্রেক্সিটের বিরোধিতা মেনে নেয়া হবে না বলে হুঁশিয়ার করেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। তবে বিরোধী দলীয় নেতা জেরেমি করবিন তার দলের এমপি এবং সাধারণ জনগণকে চুক্তিহীন ব্রেক্সিটের বিপক্ষে বিক্ষোভে অংশ নেয়ার আহ্বান জানান।
এদিকে, ব্রিটিশ পার্লামেন্ট স্থগিতের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ব্রিটেনের ১৬ লাখ বাসিন্দা এক পিটিশনে সাক্ষর করেছেন।
৩১ অক্টোবর পর্যন্ত পার্লামেন্ট মুলতবি রাখার ঘোষণার পর থেকেই ব্রিটেনজুড়ে বিক্ষোভ আর নানা সমালোচনার শিকার ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। তার একরোখা আচরণে ক্ষুব্ধ সাধারণ মানুষ। তিনি চুক্তিহীন ব্রেক্সিট চাইলেও ব্রিটেনের বহু মানুষ এর বিরুদ্ধে। তাদের অভিযোগ বরিস জনসন চুক্তিহীন ব্রেক্সিটের পর ব্রিটেন পরিস্থিতি কি হতে পারে তা নিয়ে ভাবছেন না। আর এজন্যই পার্লামেন্ট স্থগিতের সিদ্ধান্তের বিরোধিতায় একটি পিটিশনে সাক্ষর করছেন তারা। এ পর্যন্ত অন্তত ১৬ লাখ ব্রিটিশ নাগরিক এ পিটিশনে সাক্ষর করেছেন।
এক ব্রিটিশ নাগরিক বলেন, ‘খুব অল্প সময়ের মধ্যে এত মানুষের সাক্ষর খুব কম ইস্যুতেই হয়েছে। মাত্র তিন ঘণ্টায় ১ লাখ সাক্ষর পড়েছে। এর মাধ্যমেই বোঝা যায় মানুষ কতটা বিরক্ত প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্তের ওপর।’
বিরোধী দলীয় নেতা জেরেমি করবিনও তার দলের এমপি এবং সাধারণ জনগণকে চুক্তিহীন ব্রেক্সিটের বিপক্ষে বিক্ষোভে অংশ নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। স্কটল্যান্ড সফরে থাকা এ নেতা শুক্রবার এ আহ্বান জানিয়ে বলেন, মত প্রকাশের স্বাধীনতা সবার অধিকার।
জেরেমি করবিন বলেন, ‘শুধু সাধারণ জনগণ নয় পার্লামেন্টে সব দলের সদস্যই বুঝতে পারছেন চুক্তিহীন ব্রেক্সিট কি ভায়াবহ পরিণতি ডেকে আনবে। পার্লামেন্ট স্থগিতের সিদ্ধান্তে তারাও ক্ষুব্ধ। তারপরও তারা চুপ করে আছেন। আমি সবাইকে বলবো প্রতিবাদে যোগ দিতে। আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি চুক্তিহীন ব্রেক্সিট ঠেকাতে।’
তবে প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন পাল্টা ক্ষোভ দেখিয়ে বলেছেন তার ব্রেক্সিট পরিকল্পনা বাস্তবায়নে বাধা দেয়া হচ্ছে। ব্রেক্সিট চুক্তির বিরোধিতা বরদাশত করবেন না বলেও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন তিনি।
জনসন বরিস বলেন, ‘যুক্তরাজ্যের বেশিরভাগ মানুষই চায় যেকোনো উপায়ে হোক ব্রেক্সিট বাস্তবায়ন করতে। ইইউ জানে আমরা এ বিষয়ে কতটা মনোযোগী। আমি আশা করবো পার্লামেন্ট সদস্যরা চুক্তিহীন ব্রেক্সিট সম্পন্ন করতে সহায়তা করবেন। জনগণকে বলতে চাই, আমরা আলোচনার শেষ পর্যায়ে চলে এসেছি, যেভাবেই হোক আমরা ব্রেক্সিট বাস্তবায়ন করবো।’
আইরিশ সীমান্ত নিয়ে সৃষ্ট জটিলতার জেরে ব্রেক্সিট বাস্তবায়ন বারবার বাধাগ্রস্ত হলেও আগামী ৩১ অক্টোবরের মধ্যেই ব্রেক্সিট বাস্তবায়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী।
খবর সারাবেলা/ ৩১ আগষ্ট ২০১৯/টি আই