চল্লিশের পর কী ওজন কমানো কঠিন

সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বয়স বাড়বেই। এ পরিবর্তন অবশ্যম্ভাবী, তাকে ঠেকানোর সাধ্য কারও নেই। শারীরিক সুস্থতার বিবেচনায় চল্লিশ থেকে পঞ্চাশ বছরের সময়টা মানুষের জীবনে গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, এই সময়টাতে নিজের যত্ন নেওয়া বেশি দরকার। ডায়াবেটিস, প্রেশার, সুগার, জয়েন্ট পেন, বিপাক হার কমে যাওয়া—এই বয়সেই বেশি কাবু করে দেয়। ফলে এতদিন যেভাবে চলত শরীর, এখন আর সেভাবে চলে না। সে কারণেই জীবনযাপনে পরিবর্তন আনা দরকার।

মনে রাখবেন, জীবন চল্লিশের কোঠায়, মানে জীবনের সব চুকেবুকে যাওয়া নয় বরং নতুন মাইলফলক ছুঁয়েছেন, যেখানে চাইলেই আপনি থাকতে পারেন সতেজ ও সুন্দর। এ জন্য প্রতিদিনের কিছু অভ্যাসে বদল আনতে হবে।খাবারে ফাইবারের পরিমাণ বাড়ানো জরুরি। এতে হজম প্রক্রিয়া ভালো হয়। খাবার ঠিকঠাক হজম হলে মেদ কম জমে শরীরে। অতিরিক্ত তেল-মসলা দেওয়া খাবার, জাঙ্ক ফুড, কোমল পানীয় খাওয়া এবং ধূমপান ও মদ্যপান থেকে বিরত থাকুন।

সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বয়স বাড়বেই। এ পরিবর্তন অবশ্যম্ভাবী, তাকে ঠেকানোর সাধ্য কারও নেই মৌসুমি ফল খাবেন। দামি ফল খেতে না পারলে অপেক্ষাকৃত দামে সস্তা ফল খাবেন। ভাত কম খেয়ে শাকসবজি বেশি খাবেন। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করুন। রাতে অন্তত ৮ ঘণ্টা ঘুমাবেন।সকালে নাস্তায় বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে। পুষ্টিকর খাবার খুব দরকার। কারণ সকালের খাবার কাজের শক্তি জোগায়, আবার সারাদিনের খাবার হজম করতেও সাহায্য করে।

প্রতিদিন শরীরচর্চা করুন। ব্যস্ততার কারণে সম্ভব না হলে অন্তত সপ্তাহে তিনদিন ব্যায়াম করুন। অল্প দূরত্বে রিকশা ব্যবহার না করে হাঁটুন। তাতে শুধু ওজন কমবে না, সঙ্গে হজমশক্তি বাড়বে। সুস্থ থাকবে মনও। সব মিলে ঝরঝরে থাকবে শরীর। আর এ সব অভ্যাস পরিবর্তন করলে চল্লিশের পরও ওজন কমানো সম্ভব।

খবর সারাবেলা / ০১ আগস্ট ২০২২ / এমএম