চলতি মাসেই শুরু হচ্ছে প্রাথমিক শিক্ষকদের অনলাইনে বদলি

প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত চলতি মাসেই শুরু হচ্ছে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অনলাইন বদলি কার্যক্রম। এর জন্য নির্দিষ্ট সফটওয়্যার হালনাগাদসহ প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি প্রায় শেষের পথে। শুক্রবার প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াত গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে বদলি নিয়ে বাণিজ্য ও অনিয়মের অভিযোগের প্রেক্ষিতে অনলাইনে বদলি কার্যক্রম পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেয় প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। ২০২২ সালের ৩০ জুন গাজীপুরের কালিয়াকৈরে অনলাইন বদলির পরীক্ষামূলক কার্যক্রমের (পাইলটিং) উদ্বোধন করেছিলেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।

পরে ওই বছরের ১৫ সেপ্টেম্বর সারা দেশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের বদলির অনলাইন আবেদন শুরু হয়। যেভাবে হবে অনলাইন বদলি বদলিপ্রত্যাশী শিক্ষককে প্রথমে অনলাইনে আবেদন করতে হবে। প্রাথমিকভাবে অনলাইনেই আবেদনের যাচাই করে সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে পাঠাবেন। উপজেলা কর্মকর্তা অনলাইনেই যাচাই করে পাঠাবেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার (ডিপিইও) কাছে। ডিপিইও সেটি মঞ্জুর বা নামঞ্জুরের বিষয়ে সিদ্ধান্ত দিয়ে পুনরায় উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে পাঠাবেন। এরপর ডিপিইওর সিদ্ধান্তের আলোকে উপজেলা কর্মকর্তা বদলির বিষয়ে প্রয়োজনীয় আদেশ জারি করবেন। সংশ্লিষ্ট শিক্ষক তার আবেদনের বিষয়ে কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত অনলাইনেই জানতে পারবেন।

তিন ধাপের এই যাচাইয়ে প্রত্যেক দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তিনদিন করে সময় পাবেন। এই তিন দিনের মধ্যে যাচাই করে নিষ্পত্তি না করলে সেটি স্বয়ংক্রিয়ভাবেই যাচাইয়ের জন্য নিয়োজিত পরবর্তী ব্যক্তির কাছে চলে যাবে। এতে করে ব্যক্তিগত যোগাযোগের সম্ভাবনা কমে যাবে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ বার্ষিক প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, বর্তমানে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আছে ৬৫ হাজার ৫৬৬টি। এগুলোতে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১ কোটি ৩৪ লাখ ৮৪ হাজার ৬১৭ জন। শিক্ষক আছেন ৩ লাখ ৫৯ হাজার ৯৫ জন।

খবর সারাবেলা / ০৮ মার্চ ২০২৪ / এমএম