ঘুষ নেওয়া অপরাধ দেওয়াও অপরাধ
এটা খুবই অপ্রত্যাশিত যে প্রশাসনের উঁচুস্তরে এমন একটি ঘটনা ঘটেছে। ওই পুলিশ কর্মকর্তা যদি ঘুষ দিয়ে থাকেন, তাহলে তিনি গুরুতর অন্যায় করেছেন। আপাতদৃষ্টে মনে হচ্ছে, এখানে একটি ফৌজদারি অপরাধ হয়েছে। ঘুষ নেওয়া যেমন অপরাধ, দেওয়াটাও তেমন অপরাধ। এত উঁচুস্তরে এ ধরনের অপরাধ চিন্তার বিষয়। প্রশাসনিক দৃষ্টিকোণ থেকে এটা খুবই উদ্বেগের ব্যাপার।
ঘুষ লেনদেনে পুলিশ ও দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) যে দু’জনের নাম এসেছে, তারা দু’জনই বড় পর্যায়ের কর্মকর্তা। দুদক ও পুলিশ দুটিই বিধিবদ্ধ এবং সংশোধনীমূলক প্রতিষ্ঠান। সেই সংশোধনী প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের এমন ঘটনা খুবই গর্হিত ব্যাপার। তবে এর দায় তাদের প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর বর্তায় না। কারণ, ঘটনাটি বিব্রতকর হলেও এটা ব্যক্তির বিচ্যুতি, প্রতিষ্ঠানের নয়। প্রতিষ্ঠান তো তাদের এ কাজ করতে বলেনি। সরকারি দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে সততার সঙ্গে কাজ করতে হবে, নিয়ম-নীতি মেনে চলতে হবে- এসব কথা তো আর নতুন করে বলার কিছু নেই। তবে উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা হয়েও তারা সেটির ব্যত্যয় ঘটিয়েছেন।
অভিযুক্ত দুদক কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত ও তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান। এখানে পুলিশ কর্মকর্তার যে বিচ্যুতি, সেটারও তদন্ত করে প্রাপ্ত তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে হবে। দুদক এরই মধ্যে ঘটনাটি তদন্ত করে দেখছে, পুলিশও বিষয়টি দেখতে পারে; যেহেতু ওই কর্মকর্তা এখনও পুলিশে কর্মরত আছেন।
তবে এ ঘটনায় পুলিশ ও দুদক মুখোমুখি হওয়ার কিছু নেই। দুদক বিধি অনুযায়ী নিজের কাজ করবে, পুলিশও তার কাজ করবে।
লেখক :পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক
খবর সারাবেলা / ২২ আগস্ট ২০১৯ / টি আই