খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে রেখে চিকিৎসার পরামর্শ

April 12, 2021

করোনায় আক্রান্ত বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে রেখে চিকিৎসার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। তার কয়েকজন চিকিৎসক এ পরামর্শ দেন।এদিকে খালেদা জিয়ার জন্য রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে যেখানে আইসিইউসহ সব ধরনের সুবিধা আছে সেখানে করোনা ইউনিটে কেবিন বুক করা হয়েছে। তবে তার শারীরিক অবস্থা বর্তমানে যে পর্যায়ে, তাতে এখনই আইসিইউ সুবিধার দরকার নেই।

চিকিৎসকেরা বলছেন, ‘দেশে করোনা আক্রান্ত রোগী বাড়ছে। অল্প সময়ের মধ্যে আইসিইউ–সুবিধা পাওয়া নিয়ে গণমাধ্যমে নানা খবর আসছে। এ কারণে আগে থেকেই একটি আইসিইউ বেড ও কেবিন বুক করে রাখা হয়েছে।গত শনিবার খালেদা জিয়ার করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা আইসিডিডিআরবিতে দেন। ওই দিন রাতেই রিপোর্ট দেওয়া হয়। সেখানে দেখা যায়, বিএনপির চেয়ারপারসন করোনায় আক্রান্ত।

খালেদা জিয়ার একজন চিকিৎসক গণমাধ্যমকে বলেন, ‘বিএনপি চেয়ারপারসনের বয়স হয়েছে। এখন তাঁর বয়স ৭৬ বছর। তাছাড়া ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপসহ নানা ধরনের শারীরিক জটিলতা আছে। করোনায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে যাঁদের বয়স বেশি এবং অন্য শারীরিক জটিলতা আছে, তাঁরা স্বাভাবিকভাবেই ঝুঁকিতে থাকেন।’

বিএনপির চেয়ারপারসনের মেডিক্যাল বোর্ডের এক চিকিৎসক মো. আল মামুন বলেছেন, ‘খালেদা জিয়ার জ্বর, সর্দি, কাশি বা গলাব্যথা—এ ধরনের কোনো উপসর্গ এই মুহূর্তে নেই। তবে তারপরও তারা সব ব্যবস্থা নিয়ে রাখছেন। তিনি বলেন, ম্যাডামের (খালেদা জিয়া) যে মেডিকেল বোর্ড আছে, সেই বোর্ড নিয়মিত আলোচনা করে তার চিকিৎসা চালাচ্ছে।’

ডা. মামুন বলেন, ‘এখন পর্যন্ত তার অবস্থা স্টেবল। আমরা সব ধরনের ব্যবস্থা নিয়ে রেখেছি। আমরা প্রাইভেট হসপিটালে একটা কেবিন ঠিক করে রেখেছি। বাসায় একটা হসপিটাল করা হয়েছে, এখানে সবকিছুর প্রিপারেশন আছে, সব অ্যারেঞ্জমেন্ট আগের থেকে করে রাখা হয়েছে।’বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া দুর্নীতির মামলার দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি। এখন তিনি সরকারের নির্বাহী আদেশে মুক্তি পেয়েছেন।

এদিকে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে খালেদা জিয়ার গৃহপরিচারিকা ফাতেমাও রয়েছেন। খালেদা জিয়াসহ বাড়ির ৯ জনের করোনা শনাক্ত বলে তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. মোহাম্মদ মামুন জানান।আর কয়েকদিন। এর মধ্যে শুরু হয়েছে করোনাভাইরাসের সেকেন্ড ওয়েভ। অপ্রয়োজনে বাসা থেকে বের না হওয়ার নির্দেশনা এসেছে বেশ আগেই। চলছে লকডাউন। কেনাকাটা থেকে শুরু করে রোজার অন্যান্য প্রস্তুতি তাই এবার নিতে হবে সচেতনভাবে।

রোজার বাড়তি কেনাকাটা যেমন বেসন, খেজুর, ছোলা ইত্যাদিসহ অন্যান্য আনাজ কিনে ফেলুন। চেষ্টা করুন গুছিয়ে অনলাইনেই কিনে ফেলতে। সম্ভব না হলে স্বাস্থ্যবিধি মেনে বাইরে গিয়ে একবারেই কিনুন। এক্ষেত্রে অবশ্যই কেনাকাটার ফর্দ বানিয়ে নেবেন যেন কোনোকিছু বাদ পড়ে না যায়। তবে আতঙ্কে প্রয়োজনের অতিরিক্ত কিনতে যাবেন না।

রোজায় যেহেতু বাইরের ইফতার কেনা হবে না এবার, ফ্রোজেন বিভিন্ন খাবার বানিয়ে সংরক্ষণ করতে পারেন ডিপ ফ্রিজে। নাগেট, চপ, কাটলেট ইত্যাদি একবারে বেশি করে বানিয়ে রেখে দিন রোজায় ভেজে খাওয়ার জন্য।
যেহেতু নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে দোকানপাট বন্ধ হয়ে যাচ্ছে, হুট করে প্রয়োজনীয় মসলা হাতের কাছে পাওয়া যাবে না স্বাভাবিকভাবেই।

তাই মসলা কিনে গুছিয়ে রাখুন। চাইলে মসলা পেস্ট বা গুঁড়া করে রাখতে পারেন।
রোজার সময় বাড়তি কাজ করার সময় হয়ে ওঠে না। তাই জানালা-দরজার পর্দা পরিষ্কার, ফ্রিজ পরিষ্কার কিংবা বিছানার চাদর পরিষ্কারের কাজ এখনই করে ফেলুন।

ঘরে বাড়তি কোনও কেনাকাটা থাকলে সেটাও চেষ্টা করুন অনলাইনেই সেরে ফেলতে। যেমন ওভেন, ফ্রিজ, ওয়াশিং মেশিন এগুলোর প্রয়োজন হতে পারে। তবে বাড়তি জিনিস বা শখের জিনিস কেনার পেছনে টাকা খরচ না করে কেবল খুব প্রয়োজনীয় জিনিসটিই কিনুন।