ক্যানসারের কাছে হেরে চলে গেলেন শর্মিলী আহমেদ

না ফেরার দেশে চলেছেন দেশের খ্যাতিমান অভিনেত্রী শর্মিলী আহমেদ। শুক্রবার সকাল ৮টায় রাজধানীর উত্তরায় নিজ বাড়িতে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর।গণমাধ্যমেকে শর্মিলী আহমেদের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অভিনেতা শাহেদ আলী। তিনি জানিয়েছেন, শর্মিলী আহমেদ দীর্ঘদিন ধরে ক্যানসারে ভুগছিলেন। চলছিল কেমো। সম্প্রতি সর্বশেষ কেমো দেওয়া হয়। কিন্তু শেষ রক্ষা আর হলো না।

শিল্পী সংঘের সভাপতি অভিনেতা আহসান হাবিব নাসিম জানিয়েছেন, ‘অভিনেত্রী শর্মিলী আহমেদ ক্যানসারে আক্রান্ত ছিলেন। আজ ভোরে নিজ বাসায় তিনি শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন।’শর্মিলী আহমেদের মৃত্যুতে অভিনয় জগতে এরইমধ্যে শোকের ছায়া নিমে এসেছে। অভিনেত্রী সুবর্ণা মুস্তাফা ফেসবুকে লিখেছেন, ‘আমাদের সময়ের অসারণ এক অভিনয়শিল্পী, আমার প্রিয় চাচি আজ সকালে নিজ বাসায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তার আত্মার শান্তি কামনা করছি। তার প্রয়াণে গোটা নাট্যজগত তাদের সবার প্রিয় ‘আম্মা’কে হারালেন।

নির্মাতা চয়নিকা চৌধুরী লিখেছেন, ‘এমন তো কথা ছিল না এত তাড়াতাড়ি মা.. শর্মিলী আহমেদ, তুমি কেন চলে গেলে মা? সেইদিন না এক সাথে খেলাম,কত গল্প করলাম! সবাই প্রার্থনা করবেন।’অভিনেতা সাজু খাদেম লিখেছেন, ‘কিংবদন্তি অভিনেত্রী আমাদের সকলের মা, অভিভাবক শর্মিলী আহমেদ আজ সকালে আমাদের ছেড়ে চলে গেলেন।’১৯৬৪ সালে অভিনয়জীবন শুরু করেন শর্মিলী আহমেদ। কাজ করেছেন বহু নাটক ও চলচ্চিত্রে। মায়ের ভূমিকায় তার অভিনয় ছিল নজরকাড়া। ২০১৮ সালে সিয়াম আহমেদ ও পূজা চেরি অভিনীত ‘দহন’ সিনেমাটির জন্য শ্রেষ্ঠ পার্শচরিত্র অভিনেত্রী বিভাগে পেয়েছিলেন ‘বাচসাস’ পুরস্কার।

১৯৬২ সালে প্রথমে রেডিওতে এবং ১৯৬৪ সালে চলচ্চিত্রে ক্যারিয়ার শুরু করেন শর্মিলী আহমেদ। বিটিভিতে তার প্রথম ধারাবাহিক নাটক ‘দম্পতি’। ১৯৭৬ সালে মোহাম্মদ মহসিন পরিচালিত ‘আগুন’ নাটকে তিনি প্রথমবারের মত মায়ের ভূমিকায় অভিনয় করেন।শর্মিলী আহমেদের জন্ম হয়েছিল আহমেদ মুর্শিদাবাদের বেলুর চাক গ্রামে। তিনি রাজশাহী পিএন গার্লস হাই স্কুল থেকে এসএসসি পাস করেন। সদ্য প্রয়াত অভিনেত্রীর তানিমা নামে একটি মেয়ে আছে। তার ছোট বোন ওয়াহিদা মল্লিক জলি টেলিভিশন ও থিয়েটারের জনপ্রিয় অভিনেত্রী।

খবর সারাবেলা / ০৯ জুলাই ২০২২ / এমএম