করোনা অনলাইন ক্লাসের সম্ভাবনার দ্বার খুলে দিয়েছে: শিক্ষামন্ত্রী
করোনার সংকট স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে অনেক আগেই অনলাইন শিক্ষার দ্বার খুলে দিয়েছে। তাই করোনাপরবর্তী সময়েও সরাসরি শ্রেণিকক্ষে পাঠদানের পাশাপাশি অনলাইন পাঠদানও অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
রবিবার সকালে ঢাকা কলেজের উদ্যোগে আয়োজিত এক ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যুক্ত থেকে একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের অনলাইন ক্লাসের উদ্বোধন ঘোষণার সময় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘সংকট দেখেই ভয় পাওয়ার কিছু নেই। কারণ সব সংকটই সম্ভাবনা নিয়ে আসে। করোনার এই সংকটও আমাদেরকে অনেকটা এগিয়ে দিলো। তাই এই সুযোগটা আমাদের কাজে লাগাতে হবে। তাই আমরা অনলাইনে ক্লাস নেয়া শুরু করলাম।’
ডা. দীপু মনি বলেন, ‘আমরা অনলাইন শিক্ষাব্যবস্থাতেই যেতে হতো। হয়তো আরও দুই চার পাঁচ বছর লাগত। কারণ ওই যে চতুর্থ শিল্প বিপ্লব। তবে এই করোনা পরিস্থিতির কারণে এখনই আমরা অনলাইনে অভ্যস্ত হয়ে গেলাম। কাজেই এটি আমাদের জন্য নিশ্চয়ই নতুন সম্ভাবনা তৈরি করবে।’
শিক্ষকদের উদ্দেশে প্রযুক্তির জ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে শিক্ষার মানোন্নয়নে তিনি আরও বলেন, ‘আগে আমাদের ধারণা ছিল শিক্ষকরা সব জ্ঞানের উৎস। কিন্তু আধুনিক প্রযুক্তির যুগে সব তথ্যই সবার হাতের কাছে। তাই আমরা শিক্ষকদের নিজেদের জ্ঞানের উৎস না ভেবে আদর্শ গাইড হিসেবে ভাবতে হবে। তারা আগামী প্রজন্মকে দক্ষ পথ প্রদর্শকের মতোই এগিয়ে নেবেন।’
তবে করোনার পরেও এই অনলাইন ক্লাস অব্যাহত থাকবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এই যে করোনা পরিস্থিতি এখন আছে এটা চলে গেলেই যে অনলাইনকে বাদ দিয়ে দেব তা কিন্তু নয়। তখন সরাসরি ক্লাসরুমে পাঠদানের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের অনলাইনে শেখার বিষয়টিও থাকবে। যাকে ব্লেন্ডেড এডুকেশন বলে। সে ব্যাপারে আমাদের সমস্ত সিদ্ধান্তও হয়েছে।’
মন্ত্রী বলেন, ‘নানা প্রতিবন্ধকতা থাকার পড়েও অনলাইনে ক্লাস শুরু হচ্ছে। ডিজিটাল বাংলাদেশের জন্য তা সফল হয়েছে।’ তিনি বঙ্গবন্ধুর আদর্শে নিজেকে গড়ে তুলতে শিক্ষার্থীদের আহ্বান জানান।
শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান বলেন, ‘করোনার সময় নিজেকে মাল্টি স্কিলড করে গড়ে তোলার সুযোগ হয়েছে। আমরাও যখন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েছি তখন অনেক পরিশ্রমের কাজ করেছি। নিজের হাতে গাড়ি ধুয়েছি, বার্গারও পুড়িয়েছি। তাতে, আমার মান-ইজ্জত কমে যায়নি।’
ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক নেহাল আহমেদের সঞ্চালনায় আরও অংশগ্রহণ করেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আমিনুল ইসলাম খান, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর ড. সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক, ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মু. জিয়াউল হক।
খবর সারাবেলা / ০৪ অক্টোবর ২০২০ / এমএম