‘এভাবে আর কোনো মায়ের বুক যেন খালি না হয়’
ফেনীর সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসার আলীম পরীক্ষার্থী নুসরাত জাহান রাফী হত্যা মামলার রায়ে তাঁর বাবা মাওলানা এ কে এম মুসা ও মা শিরিনা আক্তার সন্তোষ প্রকাশ করে আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করেছেন।গতকাল তারা বলেন, ‘মেয়েকে দুর্বৃত্তরা হত্যা করেছে, তাকে তো আর পাব না। কিন্তু আমাদের মেয়ের মতো বাংলাদেশের আর কোনো নুসরাত যেন এ ধরনের বর্বর ঘটনার শিকার না হয় এবং এভাবে যেন কোনো মায়ের বুক খালি না হয়।’
মাওলানা মুসা ও শিরিনা আক্তার আরো বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা আমার মেয়ে নুসরাত জাহান রাফীর প্রতি সদয় হয়ে আমাদের পরিবারের প্রতি যে সহানুভূতি দেখিয়েছেন, তার জন্য আমরা কৃতজ্ঞ।’১৬ আসামিকে ফাঁসির রশিতে ঝুলিয়ে যেন দ্রুত রায় কার্যকর করা হয়, তার জন্য তারা সর্বোচ্চ আদালতের নিকট আকুল আবেদন জানান। এছাড়া সর্বোচ্চ আদালতে আসামিরা যাতে আইনের ফাঁক দিয়ে পার পেয়ে যেতে না পারে, সে জন্য সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
পরিবারের সদস্যদের সন্ত্রাসীরা বিভিন্নভাবে বিভিন্ন সময়ে জীবনহানির হুমকি দিয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে তারা বলেন, এই হুমকিতে তারা ভয় পান না। কারণ তারা তো একমাত্র মেয়েকে হারিয়েছেন। তাদের জীবনে আর হারানোর কী আছে?নুসরাত হত্যা মামলার রায়ে কোর্ট আঙিনায় সোনাগাজী ও ফেনীর সাধারণ জনগণও সন্তোষ প্রকাশ করেছে। বৃদ্ধ আবদুল আলীম বলেন, ‘৮০ বছর বয়সে দেশে আইনের শাসন দেখে গেলাম। সন্ত্রাসী যত বড়োই হোক, যতই ক্ষমতাধর হোক, আইনের কাছে তারা কিছুই না। এ রায়ে প্রমাণিত হলো, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করার জন্য সরকার সচেষ্ট।’
আওয়ামী লীগ স্থানীয় এক নেতা বলেন, ‘সোনাগাজী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও সোনাগাজী পৌর কাউন্সিলর এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার পরও তারা কোনোভাবে অপরাধ থেকে মাপ না পাওয়ায় প্রমাণিত হলো যে জননেত্রী শেখ হাসিনা সারা দেশে তার দলের যত অপরাধী আছে, কাউকে তিনি ছাড় দিবেন না।’
খবর সারাবেলা/ ২৫ অক্টোবর ২০১৯ / এমএম