আসবাবের যত্নে টুকিটাকি

অন্দর, গৃহ, বাসা যে যাই বলি না কেনো, সেটা হলো আমাদের শান্তির জায়গা। আরাম ও স্বস্তির নিঃশ্বাসটা দিন শেষে যেখানে ফেলি সেটা হল আমাদের অন্দর। অন্দরকে কিভাবে গুছিয়ে রাখবো? কোন ঋতুতে কিভাবে সাজাবো? কখন কিভাবে সাজলে অন্দর ভালো লাগবে? কোথায় কোন ধরনের ফার্নিচার রাখবো? কোন ঋতুতে কোন ধরনের ফার্নিচার ব্যবহার করব? কি রংয়ের পর্দা ব্যবহার করব? কেমন হবে বিছানা চাদর? এই ধরনের খুঁটিনাটি বিষয় নিয়ে আমরা অনেক গল্প করেছি। অনেক কিছু জেনেছি। তবে আজ জানি ঘরের আসবাবপত্রের যত্ন আমরা কিভাবে নিব এবং সেই আসবাবপত্র গুলো ঘরে কিভাবে সাজিয়ে রাখলে ঘরকে লাগবে আরও নান্দনিক।

অন্দর হলো ভালোবাসা জায়গা আর সেখানে থাকা প্রতিটা জিনিসই আমাদের ভালোবেসে করা। প্রতিটা জিনিসের প্রতি আমাদের মায়া জন্মে যায়। কিন্তু সেই মায়ার যত্ন আমরা কিভাবে নিচ্ছি? সঠিকভাবে নিচ্ছি তো? তার জন্য বা কিভাবে নিলে আমাদের ভালোবাসার আসবাবগুলো আমাদের অন্দরের শোভা বাড়বে সেই সম্পর্কে জানে নেয়-

আসবাবের রং
রুমের সবগুলো আসবাব যাতে এক কালারের হয় সেদিকে মাথায় রাখতে হবে। একেকটা একেক কালার হলে রুম আয়তনে বেশ ছোট মনে হবে এবং ঘরে সামঞ্জস্যতা থাকবে না। ঘরের সৌন্দর্য এখানে বেশ কমে যাবে।

অল্প আসবাব
চেষ্টা করতে হবে একটা ঘরের মধ্যে বেশি আসবাব না রাখার। এতে করে রুম অনেক ছোট লাগবে এবং রুমের গরম পরিবেশ তৈরি হবে। ফাঁকা ফাঁকা জায়গা রেখে রুমকে সুন্দর করে সুসজ্জিত করতে হবে। আসবাব গুলো পাশে বড় না হয়ে লম্বায় বড় হলে ঘরের জায়গা নষ্ট হবে কম।

আসবাব পরিষ্কার
গোসল করা, খাওয়া-দাওয়া, ঘুমানোর মতো প্রতিদিন আসবাবপত্রগুলো পরিষ্কার করতে হবে।প্রতি সপ্তাহে একদিন ডিপলি ক্লিন করতে হবে। প্রতি মাসে আলমারি এবং ওয়ার ড্রপ থেকে জামা কাপড় গুলো বের করে রোদে দিতে হবে। আসবাবগুলো এমন স্থানে রাখতে হবে যাতে করে আসবাবের গায়ের রোদ লাগে। এতে করে দীর্ঘদিন আসবাবপত্রগুলো ভালো থাকে টেকসই থাকে।

পোকামাকড় থেকে রক্ষা
পোকামাকড় থেকে আসবে কে বাঁচাতে হলে খেয়াল রাখতে হবে যাতে করে ড্রয়ার আলমারি বা যেই সমস্ত স্থানে পোকামাকড় ঢুকবে বলে আশঙ্কা আছে সেই সমস্ত স্থান ঢেকে রাখতে হবে ন্যাপথালিন কিংবা কর্পূর অথবা কালোজিরা ছিটিয়ে রাখতে হবে এতে করে পোকামাকড় ঢুকবে না।

আসবাব তো বাহিরের যত
আসবাবের উপরের দিকগুলো যাতে হালকা ডিজাইনে তৈরি হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। বেশি ডিজাইন নেট তৈরি করলে অতিরিক্ত ধুলাবালি জমে। আসবাবের উপরিভাগে যদি সুন্দর করে কিছু শোপিস ফটো ফ্রেম দিয়ে ডেকোরেট করা যায় তাহলে ঘরটা বেশ নান্দনিক মনে হবে।

বাচ্চাদের ঘরের আসবাব
বাচ্চাদের ঘরটা সবসময় সবচেয়ে বেশি স্পর্শকাতর হয়। সেই ঘরটা সবচেয়ে বেশি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখার চেষ্টা করুন, যাতে ধুলাবালি সেখানে না থাকে। এছাড়াও বাচ্চাদের ঘরের আসবাব গুলো একটু রঙিন হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। রঙিন কিছু চোখে খুব সুন্দর লাগে। বাচ্চাদের ঘরে আসবাব গুলো একটু রঙিন রাখুন।

অন্যান্য জিনিসের যত্ন
অন্যান্য জিনিস বলতে যেমন আমাদের দেয়ালে ঝুলানো বিভিন্ন ধরনের ঘর শয্যার জিনিস, ঝাড়বাতি, স্ট্যান্ড ল্যাম্প, ফুলদানি, ফটো ফ্রেম, ক্যানভাস এই সবগুলো জিনিসের যত্ন নিতে হবে। ধুলাবালি পড়লে তা পরিষ্কার করে নিতে হবে। রোদে দেওয়ার প্রয়োজন হলে তা রোদে দিতে হবে। মাঝে মাঝে দেয়াল থেকে খুলে দেয়ালটা ভালো করে মুছে তারপর পুনরায় আবার লাগাতে হবে। প্রয়োজনে নতুনত্ব আনার জন্য স্থান পরিবর্তন করতে হবে। প্রতিমাসে একবার করে ফুলদানি গুলো পানি দিয়ে মুছে এবং নকল ফুল গুলো ড্রাই ওয়াশ করে রাখতে হবে।

রান্নাঘরের আসবাব
ঘরের গৃহিণীদের সারাদিনে বেশিরভাগ সময় কাটে রান্নাঘরে। সেই রান্নাঘরকে সুসজ্জিত করে রাখার দায়িত্ব তাদের। রান্নাঘরে পোকামাকড়ের বাসস্থান বেশি তাই রান্নাঘরকে প্রচুর পরিমাণ পরিষ্কার করতে হবে। রান্নাঘরের যত সমস্ত আসবাব এবং বাসন-কোসন আছে এগুলো ভালো করে পরিষ্কার করতে হবে। চেষ্টা করতে হবে এগুলো এরকম স্থানে রাখার যেখানে ধুলাবালি এবং পোকামাকড় থেকে রক্ষা পাবে। কেবিনের স্টাইলে রান্না ঘরে জিনিসগুলো রাখলে দেখতে সুন্দর লাগে সাবধানে রাখা যাবে।

খবর সারাবেলা / ০২ নভেম্বর ২০২৩ / এমএম