স্বচ্ছ, সাংগঠানিক এবং আপোষহীন নেতা মনজুর আলম শাহীন

November 21, 2019

তিনি একজন আপোষহীন নেতা। হুট করেই রাজনীতিতে আসেননি। দিনের পর দিন দলের সঙ্গে থেকে, নেতা-কর্মীদের বিপদে-আপদে পাশে দাঁড়িয়ে, দায়িত্ব নিয়ে রাজনীতি করেই হয়ে উঠেছেন সবার প্রিয় শাহীন ভাই। বর্তমানে মনজুর আলম শাহীন যুবলীগের যুগ্ম সম্পাদক।মনজুর আলম শাহীন ছাত্র রাজনীতি যখন শুরু করেন তখন ইসলামী ছাত্র শিবিরে রোষানলে পড়েছেন বহুবার। নানাভাবে হয়েছেন নির্যাতিত। তবু বঙ্গবন্ধুর সৈনিক, বঙ্গবন্ধুর আর্দশ থেকে চ্যূত হননি। শুধু তাই নয়, ১৯৮৬ সালে এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে গ্রেফতার হোন আর করেন দীর্ঘদিন কারা ভোগ।

তবুও জননেত্রী শেখ হাসিনার ওপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস রেখে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাস্তবায়নে তিনি লড়েছেন এবং লড়ে যাচ্ছেন অকুতোভয় সৈনিক হিসেবে। পারিবারিকভাবেও শাহীন আওয়ামী রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান।আগামী ২৩ নভেম্বর বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের জাতীয় কংগ্রেস। কংগ্রেস সফল করতে ইতোমধ্যে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে দলটি। যুবলীগকে নেতিবাচক ধারা থেকে বের করে ইতিবাচক ব্র্যান্ডে যুক্ত করতে চান আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। যুবলীগকে ঢেলে সাজাতে এবার বিশেষ মনোযোগ দিয়েছেন তিনি। সে কারণে শুদ্ধি অভিযানের পাশাপাশি অপেক্ষাকৃত তরুণ বিশ্বস্ত, প্রতিশ্রুতিশীল ও মেধাবী নতুন নেতৃত্বের খোঁজ করছেন।

তবে যুবলীগের নেতা-কর্মীদের গুড লিস্টে রয়েছেন মনজুর আলম শাহীন। প্রিয় শাহীন ভাইয়ের এবার যুবলীগের মূল দায়িত্বে থাকবেন তা চাইছেন অনেকে। কেননা ত্যাগী এই নেতা সব সময় আছেন এবং থেকেছেন মাঠে। রয়েছেন দলের সঙ্গে, কর্মীদের পাশে। তাই যুবলীগের এই সৎ, ত্যাগী ও শিক্ষিত যুবনেতাকে সাধারণ সম্পাদক পদে দেখতে চান তৃণমূল নেতাকর্মীরা।ফেনী সদরের মাস্টার পড়ায় এক আওয়ামী লীগ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। বাবা একজন মুক্তিযোদ্ধা। ফেনী পাইলট হাই স্কুলে অধ্যায়নকালীন যুক্ত হন ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে। পালন করেন সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব। এসএসসি পাশ করে ভর্তি হন ফেনী কলেজে। কলেজ শাখার সাধারণ সম্পাদক হিসাবে ছাত্রলীগের নেতৃত্ব দেন শাহীন। ১৯৮৬ সালে এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে গ্রেফতার হোন এবং দীর্ঘদিন কারা ভোগ করেন।

বাণিজ্য বিভাগের মেধাবী ছাত্র মনজুর আলম শাহীন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাব বিজ্ঞানে (অর্নাস) ভর্তি হন। ১৯৯০ সালে অনুষ্ঠিত চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচনে ইসলামী ছাত্রশিবিরকে হারাতে সর্বদলীয় ছাত্রঐক্য গঠিত হয়েছিল তার অন্যতম রূপকার ছিলেন তিনি। ছাত্রঐক্য চাকসু এবং এফ রহমান হল ছাড়া সব হলে জয় লাভ করে। পতন হয় ছাত্রশিবের দূর্গের।

পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতির দায়িত্ব নিয়ে বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিষ্ঠিত করেন। তারই ধারাবাহিকতায় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের (মাইনু-ইকবাল) কমিটির সহসভাপতি হন। দায়িত্ব পালন করছেন ঢাকা জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক এবং কেন্দ্রীয় যুবলীগের (নানক-আজম) কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক হিসাবে। বর্তমানে তিনি যুবলীগের যুগ্ম সম্পাদক। মনজুর আলম শাহীন যুবলীগের অন্যদের মতো কেসিনো ব্যবসা, টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি, সচিবালয়ে তদবিরের সঙ্গে নিজেকে দূরে রেখেছেন।পরিবারিকভাবেই তারা আওয়ামী লীগ। কেননা শুধু তিনি সক্রিয় রাজনীতির সঙ্গে নয় তার বড় ভাই শাহ আলম চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের সহসভাপতি ছিলেন। তার স্ত্রী শামীমা আক্তার ফেন্সি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন।

খবর সারাবেলা / ২১ নভেম্বর ২০১৯ / এমএম