আন্দোলন ঘিরে হত্যাকাণ্ড-সহিংসতায় ইইউর উদ্বেগ, তদন্ত চায় পুঙ্খানুপুঙ্খ

সরকারি চাকরিতে কোটাপ্রথার সংস্কার দাবিতে আন্দোলন ঘিরে ‘দেখামাত্র গুলির নির্দেশ’ দেওয়া ও আইনবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। সাধারণ শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলন ঘিরে যেসব হত্যাকাণ্ড-সহিংসতা হয়েছে, সেসবেরও পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত ও দায়ী ব্যক্তিদের বিচার চায় ইউরোপের দেশগুলোর এই জোট। ইইউর পররাষ্ট্রনীতিবিষয়ক প্রধান জোসেপ বোরেল মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে এ উদ্বেগের কথা জানিয়েছেন। ইইউর পররাষ্ট্র বিভাগের ওয়েবসাইটে বিবৃতিটি প্রকাশ করা হয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গত ২৭ জুলাই লাওসে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর জোট আসিয়ানের আঞ্চলিক ফোরামের মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক হয়। ওই বৈঠকের ফাঁকে বাংলাদেশের প্রতিনিধি সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনের কাছে ইইউর পররাষ্ট্রনীতিবিষয়ক প্রধান এ উদ্বেগ প্রকাশ করেন। জোসেপ বোরেল বলেন, ‘আমি বাংলাদেশের প্রতিনিধি ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনের কাছে দেশটিতে সাম্প্রতিক দিনগুলোয় কর্তৃপক্ষের দেখামাত্র গুলির নির্দেশ ও আইনবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড সংঘটন নিয়ে গভীর উদ্বেগ জানিয়েছি।’

‘এছাড়া আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দ্বারা সংঘটিত হত্যা, সহিংসতা, নির্যাতন, গণগ্রেপ্তার ও সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি হওয়া নিয়েও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছি। অবশ্যই এসব কর্মকাণ্ডের পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত ও দায়ী ব্যক্তিদের বিচারের আওতায় আনতে হবে।’ সাম্প্রতিক ঘটনাবলি নিয়ে বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ কী পদক্ষেপ গ্রহণ করে, সেগুলোর ওপর ইউরোপীয় ইউনিয়ন গভীরভাবে নজর রাখছে বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

জোসেপ বোরেল বলেন, ‘এই সংকটের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশের সঙ্গে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সম্পর্কের মূলনীতিগুলো বিবেচনায় রেখে আমরা আশা করি, বাংলাদেশে সব ধরনের মানবাধিকারের প্রতি পূর্ণ সম্মান জানানো হবে।’ এছাড়া গ্রেপ্তার হওয়া হাজারো মানুষ যেন যথাযথ আইনি সুবিধা পান তা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান ইইউর পররাষ্ট্রনীতিবিষয়ক প্রধান।

খবর সারাবেলা / ৩১ জুলাই ২০২৪ / এমএম