আন্তর্জাতিক কন্যাশিশু দিবস আজ

October 11, 2019

আজ ১১ অক্টোবর আন্তর্জাতিক কন্যাশিশু দিবস। পৃথিবী জুড়ে লিঙ্গ বৈষম্য দূর করতে ২০১২ সাল থেকে দিবসটি পালন করা হচ্ছে। জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্রগুলো প্রতি বছর এ দিবসটি যথাযথ মর্যাদায় পালন করে আসছে।

কন্যাশিশুদের শিক্ষার অধিকার, পরিপুষ্টি, আইনি সহায়তা ও ন্যায্য অধিকার, চিকিত্সা সুবিধা ও বৈষম্য থেকে সুরক্ষা, বলপূর্বক বাল্যবিবাহ বন্ধে কার্যকর ভূমিকা পালনের উদ্দেশে এ দিবসের সূচনা হয়। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য নির্ধারিত হয়েছে—‘কন্যাশিশুর অগ্রযাত্রা, দেশের জন্য নতুন মাত্রা’। দিবসটি উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।

কানাডাই প্রথম জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে আন্তর্জাতিক কন্যাশিশু দিবস পালনের প্রস্তাব করে। পরে ২০১১ সালের ১৯ ডিসেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ সভায় এ প্রস্তাব গৃহীত হয়। পরের বছর ২০১২ সালের ১১ অক্টোবর তারিখে প্রথম আন্তর্জাতিক কন্যাশিশু দিবস পালন করা হয়।

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ তার বাণীতে কন্যাশিশুদের সার্বিক সুরক্ষা ও উন্নয়নে সরকারের পাশাপাশি ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠান সর্বোপরি সমাজ ও পরিবারকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, নারীর সার্বিক অগ্রযাত্রা নিশ্চিত করতে বাল্যবিয়ে, যৌতুক, ইভটিজিং প্রতিরোধসহ সামাজিক ও পারিবারিক বৈষম্য ও নির্যাতন থেকে কন্যাশিশুদের সুরক্ষিত রাখতে হবে। আন্তর্জাতিক কন্যাশিশু দিবস উদ্যাপনের মাধ্যমে এ বিষয়ে সাধারণ জনগণের মাঝে সচেতনতা সৃষ্টি হবে।

প্রধানমন্ত্রী তার বাণীতে বলেছেন, আমার বিশ্বাস, কন্যাশিশুদের অধিকার নিশ্চিত করা গেলে তারা সরকারের রূপকল্প-২০২১ ও ২০৪১ বাস্তবায়নের মাধ্যমে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের ‘সোনার বাংলাদেশ’ গড়ে তোলার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে সক্ষম হবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার ৪৫ শতাংশ শিশু, যাদের ৪৮ শতাংশই কন্যাশিশু। এ বিপুলসংখ্যক কন্যাশিশুর যথাযথ বিকাশ নিশ্চিত করা গেলে দেশের অগ্রযাত্রায় এক নতুন মাত্রা যোগ হবে।

খবর সারাবেলা/ ১১ / অক্টোবর ২০১৯ / এমএম