আগামী কয়েক সপ্তাহের জন্য ব্রিটেনের পার্লামেন্টের কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে
চুক্তিহীন ব্রেক্সিটের পথে এগিয়ে যেতে আগামী কয়েক সপ্তাহের জন্য ব্রিটেনের পার্লামেন্টের কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে।
ব্রিটেনের রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ প্রধানমন্ত্রীর অনুরোধ রক্ষা করে পার্লামেন্ট স্থগিত করেন। এর ফলে এমপিরা নতুন প্রধানমন্ত্রী জনসনের চুক্তিহীন ব্রেক্সিটের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ নিতে পারবেন না।
এদিকে, প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন যদি সেপ্টেম্বরে পার্লামেন্ট স্থগিত রাখেন তাহলে বিকল্প হাউজ অব কমন্সে বসার ঘোষণা দিয়েছেন দেশটির প্রধান দলগুলোর অর্ধশতাধিক এমপি। তারা জানিয়েছেন, ব্রেক্সিট ইস্যুতে আগামী ৫ সপ্তাহজুড়ে তারা বিতর্ক করতে সংকল্পবদ্ধ।
এ নিয়ে সংবাদমাধ্যমটির কাছে কনজারভেটিভ, লেবার, এসএনপি, লিবারেল ডেমোক্রেটস ও চেঞ্জ ইউকে দলের ব্যাকবেঞ্চাররা একটি চিঠি পাঠিয়েছেন। এতে তারা জানিয়েছেন, তারা একটি বিকল্প পার্লামেন্টের আহ্বান করতে যাচ্ছেন। ওই চিঠিতে স্বাক্ষর করেছেন লেবার পার্টির এমপি ডেভিড ল্যামি, বর্তমান লিবারেল ডেমোক্রেট নেতা জো সুইনসন, গ্রিন পার্টির এমপি স্যার ভিন্স ক্যাবল এবং কনজারভেটিভ এমপি অ্যান্টোইনেটে সান্ডবাচ ও গুটো বেব।
তারা বলেন, এমন একটি জাতীয় সংকটের সময় আমরা সরকারকে সুবিবেচনা থেকে দূরে থাকতে দিতে পারি না।
চিঠিতে আরও বলা হয়, ২০১৬ সালে যারা ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে আসতে ভোট দেয় তাদেরকে দরকষাকষির মাধ্যমে একটি ব্রেক্সিট চুক্তির প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিলো।
অথচ এখন প্রধানমন্ত্রী বলছেন, চুক্তিবিহীন ব্রেক্সিটের জন্য তিনি পার্লামেন্ট স্থগিত করবেন। এমন একটি অসাংবিধানিক ক্যু-এর অর্থ হচ্ছে জনগণের কাজ, নিরাপত্তা ও জীবনমানের সঙ্গে আপসের ঝুঁকি নেয়া। বরিস জনসন শুধুমাত্র তার নিজের জন্য এগুলো সব বিপন্ন করছেন।
খবর সারাবেলা/ ০১ সেপ্টেম্বর ২০১৯/ টি আই