আইসিটিতে নারীদের অংশগ্রহণ ও দক্ষতা বাড়াতে অনলাইন সেমিনার অনুষ্ঠিত

বাংলাদেশ উইমেন ইন টেকনোলজি (বিডব্লিউআইটি) এবং বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি) এর যৌথ উদ্যোগে একটি অনলাইন সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। সম্প্রতি আয়োজিত এক অনলাইন বৈঠকের বিষয় ছিল ‘উইমেন ইন টেকনোলজি : মিটিগেটিং দ্য জেন্ডার গ্যাপ থ্রু স্কিল ডেভেলপমেন্ট’। অনলাইন আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন, বিসিসির সদস্য মো. রেজাউল করিম। বিশেষ অতিথি ছিলেন, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) সাবেক অধ্যাপক ড. ইয়াসমিন হক।

অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য দেন বিডব্লিউআইটি’র পরিচালক এবং প্রতিষ্ঠাকালীন সভাপতি লুনা শামসুদ্দোহা। মুল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিডব্লিউআইটি’র সভাপতি প্রফেসর ড. লাফিফা জামিল। তিনি তার উপস্থাপনায় বলেন, প্রযুক্তি নির্ভর এ সময়ে আইসিটিতে মেয়েদের অংশগ্রহণ সারা বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও আশাব্যাঞ্জক নয়।

বিডব্লিউআইটি মেয়েদের আইসিটিতে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য বিভিন্ন কাজ করে যাচ্ছে। বিডব্লিউআইটি এবং বিসিসি’র যৌথ উদ্যোগে আইসিটি সেক্টরে মেয়েদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ হিসেবে গড়ে তুলতে বিভিন্ন কার্যক্রম হাতে নেয়া হচ্ছে। তিনি আইসিটিতে মেয়েদের পিছিয়ে পড়ার বিভিন্ন কারণ উল্লেখ করে সেগুলো সমাধানের জন্য পদক্ষেপ এবং মেয়েদের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য বিশেষ জোর দেন। সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের পাশাপাশি পারিবারিক, সামাজিক ও কর্মক্ষেত্রে সচেতনতা সৃষ্টির জন্য জোর দেন।

প্রধান অতিথি বিসিসির সদস্য মো. রেজাউল করিম বলেন, যদিও আইসিটিখাতে নারীদের অংশগ্রহণ আগের তুলনায় কিছুটা হলেও বেড়েছে। কিন্তু আমাদের যে প্রত্যাশা পূরণ হয়নি। অন্য সেক্টরে মেয়েদের অংশগ্রহণ আশাব্যাঞ্জক হলেও আইসিটিতে তেমন বাড়েনি। ২০১০-১১ সাল থেকে এই খাতে মেয়েদের অংশগ্রহণ বাড়াতে বিভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষণের আয়োজন করে আসছে বিসিসি।

যদিও এটা পর্যাপ্ত নয়। তাই আরো বেশি কিছু প্রতিষ্ঠান এই কাজটি করছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আইসিটিতে মেয়েদের অংশগ্রহণ বাড়ানোর নিদের্শ দিয়েছেন। সেজন্য কাজ করছে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল। তবে সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন সংগঠন, প্রতিষ্ঠান ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে এগিয়ে আসতে হবে।

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) সাবেক প্রফেসর ইয়াসমিন হক বলেন, আমরা কি আমাদের মেয়েদের যথেষ্ট সুযোগ সুবিধা দিয়েছি? আমরা কি স্কিল শিখাবো- সফট স্কিল বা টেকনিক্যাল স্কিল; আর এই স্কিল শেখার পর থাকতে পারবে তারা কর্মক্ষেত্রে। এইসব বিষয়ে বেশি বেশি কাজ করতে হবে। এ ছাড়াও প্রতিনিয়ত টেকনোলজিতে মেয়েদের অংশগ্রহন বাড়াতে হবে। মেয়েদের টেকনোলজিতে আগ্রহী করে তুলতে সবাই মিলে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।

ভার্চুয়াল এই সেমিনারে প্যানেলিস্ট ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. সুরাইয়া পারভীন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শাহাদাত হোসাইন, বাংলাদেশ বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মাহমুদা নাজনীন, খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. এমএমএ হাশেম, আন্ডারপ্রিভিলেজড চিলড্রেনস এডুকেশনাল প্রোগ্রামসের (ইউসেপ) চেয়ারম্যান পারভীন মাহমুদ, বাংলাদেশ ওপেন সোর্স নেটওয়ার্কের (বিডিওএসএন) সেক্রেটারি মুনীর হাসান, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সেলের পরিচালক অধ্যাপক ড. আলী আশরাফ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন টেকনোলজির অধ্যাপক ড. কাজী মুহাইমিন-আস-সাকিব, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব আইসিটি’র (বিআইআইডি) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শহীদ উদ্দিন আকবর, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক সাদিয়া হামিদ কাজী, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান, নাটোরের বাংলাদেশ আর্মি ইউনিভার্সিটি অব ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজির সহযোগী অধ্যাপক মোসাম্মাৎ আসমা ইয়াসমিন, সেন্ট্রাল উইমেন্স ইউনিভার্সিটির কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চেয়ারপার্সন শাহনাজ পারভীন এবং বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রভাষক সোহেলি জাহান।

এতে সমাপনী বক্তব্য দেন বিসিসির টেস্টিং অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট বিভাগের পরিচালক এনামুল কবীর। পুরো অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বিডব্লিউআইটির পরিচালক ড. নোভা আহমেদ বাংলাদেশ উইমেন ইন টেকনোলজি (বিডব্লিউআইটি) এবং বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি) এর যৌথ উদ্যোগে একটি অনলাইন সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। সম্প্রতি আয়োজিত এক অনলাইন বৈঠকের বিষয় ছিল ‘উইমেন ইন টেকনোলজি : মিটিগেটিং দ্য জেন্ডার গ্যাপ থ্রু স্কিল ডেভেলপমেন্ট’। অনলাইন আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন, বিসিসির সদস্য মো. রেজাউল করিম। বিশেষ অতিথি ছিলেন, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) সাবেক অধ্যাপক ড. ইয়াসমিন হক।

অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য দেন বিডব্লিউআইটি’র পরিচালক এবং প্রতিষ্ঠাকালীন সভাপতি লুনা শামসুদ্দোহা। মুল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিডব্লিউআইটি’র সভাপতি প্রফেসর ড. লাফিফা জামিল। তিনি তার উপস্থাপনায় বলেন, প্রযুক্তি নির্ভর এ সময়ে আইসিটিতে মেয়েদের অংশগ্রহণ সারা বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও আশাব্যাঞ্জক নয়। বিডব্লিউআইটি মেয়েদের আইসিটিতে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য বিভিন্ন কাজ করে যাচ্ছে।

বিডব্লিউআইটি এবং বিসিসি’র যৌথ উদ্যোগে আইসিটি সেক্টরে মেয়েদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ হিসেবে গড়ে তুলতে বিভিন্ন কার্যক্রম হাতে নেয়া হচ্ছে। তিনি আইসিটিতে মেয়েদের পিছিয়ে পড়ার বিভিন্ন কারণ উল্লেখ করে সেগুলো সমাধানের জন্য পদক্ষেপ এবং মেয়েদের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য বিশেষ জোর দেন। সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের পাশাপাশি পারিবারিক, সামাজিক ও কর্মক্ষেত্রে সচেতনতা সৃষ্টির জন্য জোর দেন।

প্রধান অতিথি বিসিসির সদস্য মো. রেজাউল করিম বলেন, যদিও আইসিটিখাতে নারীদের অংশগ্রহণ আগের তুলনায় কিছুটা হলেও বেড়েছে। কিন্তু আমাদের যে প্রত্যাশা পূরণ হয়নি। অন্য সেক্টরে মেয়েদের অংশগ্রহণ আশাব্যাঞ্জক হলেও আইসিটিতে তেমন বাড়েনি। ২০১০-১১ সাল থেকে এই খাতে মেয়েদের অংশগ্রহণ বাড়াতে বিভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষণের আয়োজন করে আসছে বিসিসি।

যদিও এটা পর্যাপ্ত নয়। তাই আরো বেশি কিছু প্রতিষ্ঠান এই কাজটি করছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আইসিটিতে মেয়েদের অংশগ্রহণ বাড়ানোর নিদের্শ দিয়েছেন। সেজন্য কাজ করছে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল। তবে সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন সংগঠন, প্রতিষ্ঠান ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে এগিয়ে আসতে হবে।

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) সাবেক প্রফেসর ইয়াসমিন হক বলেন, আমরা কি আমাদের মেয়েদের যথেষ্ট সুযোগ সুবিধা দিয়েছি? আমরা কি স্কিল শিখাবো- সফট স্কিল বা টেকনিক্যাল স্কিল; আর এই স্কিল শেখার পর থাকতে পারবে তারা কর্মক্ষেত্রে। এইসব বিষয়ে বেশি বেশি কাজ করতে হবে। এ ছাড়াও প্রতিনিয়ত টেকনোলজিতে মেয়েদের অংশগ্রহন বাড়াতে হবে। মেয়েদের টেকনোলজিতে আগ্রহী করে তুলতে সবাই মিলে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।

ভার্চুয়াল এই সেমিনারে প্যানেলিস্ট ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. সুরাইয়া পারভীন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শাহাদাত হোসাইন, বাংলাদেশ বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মাহমুদা নাজনীন, খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. এমএমএ হাশেম, আন্ডারপ্রিভিলেজড চিলড্রেনস এডুকেশনাল প্রোগ্রামসের (ইউসেপ) চেয়ারম্যান পারভীন মাহমুদ, বাংলাদেশ ওপেন সোর্স নেটওয়ার্কের (বিডিওএসএন) সেক্রেটারি মুনীর হাসান, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সেলের পরিচালক অধ্যাপক ড. আলী আশরাফ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন টেকনোলজির অধ্যাপক ড. কাজী মুহাইমিন-আস-সাকিব, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব আইসিটি’র (বিআইআইডি) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শহীদ উদ্দিন আকবর, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক সাদিয়া হামিদ কাজী, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান, নাটোরের বাংলাদেশ আর্মি ইউনিভার্সিটি অব ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজির সহযোগী অধ্যাপক মোসাম্মাৎ আসমা ইয়াসমিন, সেন্ট্রাল উইমেন্স ইউনিভার্সিটির কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চেয়ারপার্সন শাহনাজ পারভীন এবং বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রভাষক সোহেলি জাহান। এতে সমাপনী বক্তব্য দেন বিসিসির টেস্টিং অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট বিভাগের পরিচালক এনামুল কবীর। পুরো অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বিডব্লিউআইটির পরিচালক ড. নোভা আহমেদ।

খবর সারাবেলা / ১২ সেপ্টেম্বর ২০২০ / এমএম