‘অত্যন্ত বিরল’ ঘূর্ণিঝড় ‘আসনা’ নিয়ে জানা গেল যেসব তথ্য

আরব সাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপটি ঘনীভূত হয়ে ঘূর্ণিঝড় ‘আসনা’য় পরিণত হয়েছে। শনিবার রাতের মধ্যে এটি ভারত ও পাকিস্তানের উপকূলে আছড়ে পড়তে পারে। তবে আসনাকে ‘অত্যন্ত বিরল’ ঘূর্ণিঝড় হিসেবে অ্যাখায়িত করেছেন আবহাওয়াবিদরা। এই ঘূর্ণিঝড়টির নাম দিয়েছে পাকিস্তান। ‘আসনা’ অর্থ স্বীকার করা বা প্রশংসিত।

কেন বিরল বলা হচ্ছে এই ঘূর্ণিঝড়কে?

আবহাওয়াবিদরা বলছেন, আসনা একটি অত্যন্ত বিরল ঘূর্ণিঝড়। এর কারণ সাধারণত সমুদ্রপৃষ্ঠ বা জলভাগেই রূপ নেয় ঘূর্ণিঝড়। তারপর তা স্থলভাগে প্রবেশ করে। কিন্তু এক্ষেত্রে সম্পূর্ণ উল্টো ঘটনা ঘটছে। স্থলভাগ পেরিয়ে আরব সাগরে গিয়ে ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নিয়েছে আসনা। আবহাওয়াবিদরা আরও জানিয়েছেন, ১৯৭৬ সালের পর এই প্রথম এমন ঘূর্ণিঝড় হচ্ছে। এমনকি ১৮৯১ সাল থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে মাত্র তিনবার এই ধরনের বিরল ঘূর্ণিঝড় হয়েছে।

অন্যদিকে, সাধারণত জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর মাসে আরব সাগরের তাপমাত্রা ২৬ ডিগ্রি থাকে, যা নিম্নচাপ বা ঘূর্ণিঝড় তৈরির অনুকূল পরিবেশ নয়। কিন্তু বিরল এই ঘটনায় আরব সাগরেই তৈরি হয়েছে ঘূর্ণিঝড়টি। ভারতীয় আবহাওয়া দপ্তর (আইএমডি) জানিয়েছে, শুক্রবার সকালে গুজরাটের কচ্ছ উপকূলে তৈরি হয় ঘূর্ণিঝড়টি। এর প্রভাবে কচ্ছ উপকূল, পাকিস্তানের কিছু অংশে গভীর নিম্নচাপ তৈরি হয়েছে। প্রসঙ্গত, এর আগে ১৯৭৬ সালে যে বিরল ঘূর্ণিঝড় হয়েছিল, তা ওড়িশায় তৈরি হয়ে পশ্চিম-উত্তর-পশ্চিমে আরব সাগরে প্রবেশ করে এবং ধীরে ধীরে ওমানের উপকূলে গিয়ে দুর্বল হয়ে যায়।

খবর সারাবেলা / ৩১ আগস্ট ২০২৪ / এমএম