লিখন খুশি রশিদের গুগলি ডেলিভারির ড্রিলের রহস্য জেনে
একদিক থেকে যুবায়ের হোসেন লিখনের চেয়ে রশিদ খান এক বছরের জুনিয়র। বাংলাদেশের লেগস্পিনার লিখনের আন্তর্জাতিক অভিষেক ২০১৪ সালের ২৫ অক্টোবর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্ট ম্যাচ দিয়ে। আর রশিদের আন্তর্জাতিক অভিষেক ২০১৫ সালের ১৮ অক্টোবর বুলাওয়েতে জিম্বাবুয়ের সঙ্গে ওয়ানডে ক্রিকেটে। সেই থেকে উন্নতির সোপান বেয়ে বিশ্বের অন্যতম সেরা একজন লেগস্পিনার হয়ে উঠেছেন রশিদ। এখন তো আফগানিস্তান ক্রিকেটেরই নেতা তিনি।
সেই রশিদের কাছেই সোমবার লেগস্পিন বোলিংয়ের ওপর টিপস নিতে গেলেন লিখন। বাংলাদেশের একজন বোলারকে টিপস দিতে পেরে আফগান দলনেতাও খুশি। আর লিখন খুশি গুগলি ডেলিভারির ড্রিলের রহস্য জেনে। অথচ ঠিক পথে থাকলে রশিদের মতো একজন হতে পারতেন লিখন।
২০১৪ সালে জাতীয় দলের নেটে লিখনকে পেয়েছিলেন জাতীয় দলের সাবেক প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। নেট বোলারকে জাতীয় দলে অভিষেক করাতে মরিয়া হয়ে উঠেছিলেন তিনি। তড়িঘড়ি করে জিম্বাবুয়ে ‘এ’ দলের বিপক্ষে লিস্ট-এ এবং চার দিনের (প্রথম শ্রেণি) ম্যাচে খেলানো হয়। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ বা জাতীয় লিগে না খেলেও জাতীয় দলের ক্রিকেটারের স্বীকৃতি জুটে যায় তার। তাও টেস্ট ক্রিকেটের মতো অভিজাত ক্রিকেটে অভিষেক হয়।
এই লিখনকেই ২০১৫ সালের বিশ্বকাপ দলে নেওয়ার জন্য মরিয়া ছিলেন চন্ডিকা; কিন্তু প্রধান নির্বাচক রাজি না হওয়ায় বিরোধ প্রকাশ্যে রূপ নেয়। মিডিয়ার সামনে একে অন্যের সমালোচনা করেছিলেন। বিসিবিও কোচের পক্ষ নিয়ে জাতীয় দলের নির্বাচক কমিটিতেই ওলটপালট করে ফেলে। পদত্যাগ করে ক্রিকেটই ছেড়ে দেন সে সময়ের প্রধান নির্বাচক ফারুক আহমেদ। অবশ্য লিখনকে নিয়ে চন্ডিকার মোহ ভাঙতেও বেশি সময় লাগেনি। ২০১৫ সালের নভেম্বরেই নিজের শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেন তিনি।
সেই লিখন নেট বোলার থেকে যে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটারের স্বীকৃতি পেয়েছিলেন, তিনি ঝরেও গেছেন রশিদের উত্থানের আগে। সোমবার যে হলেন রশিদের ক্লাসের ছাত্র। বিসিবির প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নুই রশিদের কাছে লিখনকে পাঠান টিপস নিতে। এনামুল হক বিজয়কে সঙ্গে নিয়ে রশিদের কাছে যান।
দোভাষীর ভূমিকায় থাকা বিজয় বলেন, ‘লিখন রশিদ খানের কাছে জানতে চাচ্ছিল, এত জোরে কীভাবে গুগলি বল করে। রশিদ বলছিল, আমি কিছু ড্রিল করি, যেগুলো আমাকে জোরে বল করতে সাহায্য করে। এই ড্রিলগুলো লিখনকে দেখাল। কিছু ড্রিল করতে বলেছে লিখনকে। লেগস্পিনের বেসিক জিনিসগুলো বলেছে। তবে সেগুলো বলা যাবে না। নান্নু স্যার নিষেধ করে দিয়েছেন।’ রশিদের কাছ থেকে আরও কিছু শিখতে চান লিখন। চট্টগ্রামে টেস্ট ম্যাচ শেষ করে ঢাকায় ত্রিদেশীয় টি-২০ সিরিজ চলাকালে আরও কিছুটা সময় চেয়ে রেখেছেন লিখন। এতে রাজিও হয়েছেন রশিদ।
খবর সারাবেলা/ ০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯/ টি আই




