রোজায় ঘুমের সমস্যা? যা করণীয়

রমজানে সারা বিশ্বের ধর্মপ্রাণ মুসলিমরা আল্লাহ ও রসুলের সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে রোজা রাখে ও প্রার্থনা করে। পবিত্র এই মাসটিতে অনেকেরই ঘুমের রুটিনে গরমিল হয়। গবেষণায় দেখা গেছে যারা রোজা রাখে তারা স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে ৯০ মিনিট কম ঘুমায় যার প্রভাব পড়ে শরীরের ওপর। এখন কথা হলো কীভাবে রমজান মাসে এই ঘুমের ঘাটতি মিটাবেন।

সঠিক পরিমাণে খাওয়া:

ইফতারের সময় একবারে খুব বেশি খাওয়ার অভ্যাস বাদ দেওয়ার কথা বলেছেন চিকিৎসকরা। ইফতারে একবারে যদি আপনি তৈলাক্ত, ভারী, চিনিজাতীয় খাবার বা কার্বহাইড্রেটযুক্ত পানীয় খান তাহলে তা হজম হতেও অনেক বেশি সময় নেবে। অতিরিক্ত ঝাল জাতীয় খাবার বা ক্যাফেইনযুক্ত পানীয় ঘুম না হওয়ার কারণ হতে পারে। পুষ্টিবিদরা বলছেন, রাতে ভালো ঘুমের জন্য মিষ্টি অল্প পরিমাণে খাওয়া দরকার।

হালকা ঘুম:

সুস্থ শরীরের জন্য ভালো ঘুমের কোন বিকল্প নেই। সময় না পেলে হালকা ন্যাপ নিয়ে নিন। দীর্ঘ ঘুমের মতো উপকার না হলেও ন্যাপ নিলে শরীর ঝরঝরা লাগবে। এজন্য সাহরির আগে কমপক্ষে চার ঘণ্টা এবং সাহরির পর দুই ঘণ্টা ঘুমের কথা বলা হয়েছে। সারাদিন রোজা রেখে যখন ক্লান্ত লাগবে তখন হালকা ঘুমিয়ে নিতে পারেন। এতে ঝরঝরা লাগবে শরীর। রোজার দিনে বেশিরভাগ কর্মক্ষেত্রে সময় কমিয়ে আনা হয় সেই ক্ষেত্রে ওই বাড়তি সময়ে একটু ঘুমিয়ে নিতে পারেন। এতে করে সারাদিনে পরিপূর্ণ হবে ঘুম।

শান্তিপূর্ণ জায়গা:

ঘুমের জন্য একটি শান্তিপূর্ণ পরিবেশ গড়ে তুলুন। লাইট বন্ধ করে ঘুমানোর চেষ্টা করুন। আর কোন ধরণের শব্দ হয় না এমন জায়গা বেছে নিন ঘুমের জন্য। ঘুমানোর আগে ইলেকট্রনিক ডিভাইসগুলো বন্ধ করে রেখে নিজের থেকে দূরে সরিয়ে রাখুন। আবার ভালো ঘুমের জন্য বালিশও অনেক গুরুত্বপূর্ণ।

খাপ খাওয়ানো:

রমজানে রুটিনে কিছু পরিবর্তন আসবে। তার সাথে শরীরকে মানিয়ে নিন। এতে করে সহজেই সময়ের সাথে সব মানিয়ে নিতে পারবেন। প্রথম এক সপ্তাহ সমস্যা মনে হলেও পরে ঠিক হয়ে যাবে।

খবর সারাবেলা / ০৬ এপ্রিল ২০২২ / এমএম