নারীর মরদেহ মুখে নিয়ে ঘুরছিল কুমির

যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসের বিশালাকৃতির একটি কুমিরের মুখের ভেতর থেকে এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে এই জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। প্রতিবেদনে বলা হয়, টেক্সাসের হোস্টনে এক নিখোঁজ নারীকে উদ্ধারে চেষ্টা সময় কর্মকর্তারা একটি কুমিরের মুখের ভেতর নারীর দেহাংশ দেখতে পান। এরপরই ওই দেহাংশের যেন আরও কোনো ক্ষতি কুমিরটি করতে না পারে সেজন্য এটিকে গুলি করে হত্যা করা হয়। পরে একজন ডুবুরি পানিতে নেমে মৃত কুমিরের মুখের ভেতর দেহাবশেষ উদ্ধার করেন।

যদিও হোস্টন পুলিশের কর্মকর্তারা এখন মরদেহটির ময়না তদন্তের রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করছেন। তবে তাদের ধারণা ৬০ বছর বয়সী যে নারী নিখোঁজ হয়েছিলেন এটি তারই মরদেহ হবে। এছাড়া তদন্তের মাধ্যমে বের হয়ে আসবে এই কুমিরটি এই নারীকে হত্যা করেছিল— না কি তিনি মারা যাওয়ার পর তার মরদেহটি নিজের মুখে নিয়েছিল কুমিরটি। প্রায় আট মাস আগে ফ্লোরিডার লারগোতে একই ধরনের একটি ঘটনা ঘটেছিল। সেসময় একটি ১৩ ফুট লম্বা কুমিরকে রাস্তায় মরদেহের খণ্ড নিয়ে হাঁটতে দেখেন। এরপর এটিকে গুলি করে হত্যা করা হয়। পরবর্তীতে জানা যায় মরদেহটি ছিল ৪১ বছর বয়সী সাব্রিনা পেকহ্যাম নামের এক নারীর।

এর কয়েকমাস আগে ফ্লোরিডার ফোর্ট পিয়ার্সে একটি ১০ ফুটের অ্যালিগেটর ৮৫ বছর বয়সী মহিলাকে হত্যা করেছিল যখন সে তার পোষা কুকুরকে নিয়ে হাঁটতে বের হয়েছিল। বিবিসি বলছে, ফ্লোরিডায় কুমিরের আক্রমণ খুবই সাধারণ একটি বিষয়। তবে টেক্সাসে এ ধরনের ঘটনা খুবই বিরল। এবিসি১৩ নিউজের প্রতিবেদন অনুসারে, টেক্সাসে এর আগে কুমিরের আক্রমণে শেষ মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছিল ২০১৫ সালে। সেসময় টেক্সাসে অরেঞ্জে সাঁতার কাটার সময় ২৮ বছর বয়সী এক যুবককে হত্যা করে একটি কুমির।

খবর সারাবেলা / ০১ জুন ২০২৪ / এমএম