তরুণ প্রজন্মের সময় কাটছে মোবাইল-ল্যাপটপে

সারাদেশ করোনা আতঙ্কে আতঙ্কিত। করোনার প্রকোপ ঠেকাতে সরকার বিস্তর কার্যক্রম হাতে নিয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম সর্ব সাধারণের চলাচলে নিষেধাজ্ঞা। এই নিষেধাজ্ঞার কারণে মানুষ ঘরে বন্দি জীবন কাটাচ্ছে। কয়েকদিনের ব্যবধানে মানুষ অস্থির হয়ে পড়েছে। এই অস্থিরতা থেকে কিছুটা স্বস্তির জন্য দেশের তরুণ প্রজন্ম মোবাইল, ল্যাপটপে সময় দিচ্ছে। ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, মেসেঞ্জার, ইউটিউব এসব অনলাইন দুনিয়াই এখন তাদের জগৎ।

জানা যায়, করোনা প্রকোপের কারণে শিক্ষার্থীদের বন্ধ স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যাল। ক্লাস-কোচিং, খেলার মাঠ, বন্ধুদের সাথে আড্ডা, আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়ানো, সাংস্কৃতিক আচার-অনুষ্ঠান কিংবা উপাসনালয়ে গিয়ে প্রার্থনা, কিছুই করার সুযোগ নেই। এখন বাধ্য হয়ে তাদের ঘরে থাকতে হচ্ছে।রাজধানীর ইডেন মহিলা কলেজের শিক্ষার্থী সৈয়দা রওনক জাহান। তিনি জানান, ‘গত ১৯ মার্চ ঢাকা থেকে বাসায় এসেছি। বাসায় আসার সময় খুব বেশি বই আনিনি। ভাবতে পারিনি ছুটি এত বেশি সময় হবে। এখন বাসায় সময় কাটে না। তাই বন্ধু, বান্ধব, মোবাইল ল্যাপটপে সময় কাটাচ্ছি।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হামিম বলেন, ‘বাসায় আসলে পড়া হয় না। তাই তেমন বই নিয়ে আসিনি। বাসা থেকে বের হতেও পারছি না। পুরো অস্বস্তিতে দিন যাচ্ছে। এখন একমাত্র সঙ্গী, মোবাইল, ল্যাপটপ।’এদিকে তরুণদের দিনের বড় একটি সময় জুড়ে মোবাইল ও ল্যাপটপ নিয়ে পড়ে থাকার কারণে শারীরিক ও মানসিক দুই ধরনেরই স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি হচ্ছে বলে মনে করেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।

জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মেখলা সরকার বলেন, এ ধরনের ডিভাইস একনাগাড়ে ব্যবহারের কারণে ঘাড় ব্যথা, চোখের সমস্যা, মাথা ব্যথার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। যাদের ডায়াবেটিস ও হাইপারটেনশন রয়েছে, সেটির মাত্রা বেড়ে যেতে পারে। এছাড়া ফিজিক্যাল অ্যাক্টিভিটি কমে আসায় মুটিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।তিনি জানান, মোবাইল কিংবা ল্যাপটপ নিয়ে পড়ে থাকার এই অভ্যাস আসক্তিতে রূপ নিতে পারে। এ ধরনের ডিভাইস দীর্ঘক্ষণ ব্যবহারের কারণে মেজাজ খিটখিটে হয়ে যায়, ঘুমের ক্ষেত্রেও সমস্যার সৃষ্টি হয়।

খবর সারাবেলা / ২৪ এপ্রিল ২০২০ / এমএম