ঠাকুরগাঁওয়ে বর্তমান প্রজম্মের কাছে নন্দিত হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধের অদম্য গ্যালারিটি
বঙ্গবন্ধু থেকেই মুক্তিযুদ্ধ। সেই সূত্রে শব্দ দুটি একই সূত্রে গাঁথা। সেই মহান নেতার স্বপ্নের বাংলাদেশের প্রতিচ্ছবি ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস এবং স্মৃতি বিজড়িত ভয়াল দৃশ্য প্রদর্শিত হচ্ছে ঠাকুরগাঁওয়ে অদম্য বাংলাদেশ কর্ণার নামের গ্যালারিতে। একই সঙ্গে প্রদর্শিত হচ্ছে ছয় দফা ও ভাষা আন্দোলনের নানা তথ্য চিত্র। প্রতিদিন এই গ্যালারি দেখতে আসছে সব বয়সের মানুষ। এ প্রজম্মের কাছে নন্দিত হচ্ছে গ্যালারিটি। এ ধরনের উদ্যোগ ছড়িয়ে দেওয়ার কথা জানিয়েছেন উদ্যোক্তা।
বঙ্গবন্ধু ও মহান মুক্তিযুদ্ধের ঘটনাপ্রবাহ নতুন প্রজন্মের চেতনাবোধ জাগিয়ে তুলতে অদম্য বাংলাদেশ কর্ণার নামের গ্যালারি নির্মিত হয়েছে ঠাকুরগাঁওয়ে। প্রজম্ম থেকে প্রজম্মের কাছে নন্দিত হচ্ছে এই গ্যালারিটি। বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণ, পাক হানাবাহিনীর বর্বরতা-গণহত্যা, লুণ্ঠন, ধর্ষণ, মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বিজড়িত ভয়াল দৃশ্য, বুদ্ধিজীবী হত্যা, মুক্তিযুদ্ধের দলিল পত্র, পাকবাহিনীর আত্মসমর্পণের চিত্র প্রদর্শিত হয়েছে গ্যালারিতে। একই সঙ্গে প্রদর্শিত হচ্ছে ভাষা আন্দোলনের নানা তথ্য চিত্র। রয়েছে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলাদেশের উন্নয়নের চিত্র ও আগামী উন্নয়নের ডেল্টা প্লান। এটি নির্মিত হয়েছে জেলা কালেক্টর ভবনে। প্রতিদিনই দেখতে আসছে এ প্রজন্মসহ সব সব বয়সের মানুষ। এসব তথ্য চিত্র দেখে মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস জানতে পারছেন বলে জানিয়েছেন দর্শনার্থীরা।
সম্প্রতি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য, সাবেক মন্ত্রী রমেশ চন্দ্র সেন এমপি বলেন, এই অদম্য বাংলাদেশ পরিদর্শনের পর এটি সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। এ দেশের মানুষকে স্বাধীনতার জন্ম ইতিহাস জানার আহ্বান জানান স্থানীয় সাংসদ রমেশ চন্দ্র সেন।
আর এর উদ্যোক্তা ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানাতে এবং এ প্রজন্মকে উন্নয়নের সাথে সম্পৃক্ত করতেই এই গ্যালারি স্থাপন করা হয়েছে। এ ধরনের গ্যালারি পুরো জেলায় ছড়িয়ে দেওয়ার কথাও জানান জেলা প্রশাসক।
জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সংস্কারের অর্থ দিয়ে নির্মাণ করা হয়েছে অদম্য বাংলাদেশ কর্নার। আর এটির রুপরেখা দিয়ে বাস্তবায়ন করেছেন ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক ড.কেএম কামরুজ্জামান সেলিম। এ ধরনের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন ঠাকুরগাঁওবাসী।
খবর সারাবেলা/ ০৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯/ টি আই