কিডনি সুস্থ রাখুন পাঁচ অভ্যাসে
কিডনি মানবদেহের অন্যতম প্রধান অঙ্গ। বিষাক্ত পদার্থ ছেঁকে বের করে দিয়ে শরীরকে সুস্থ রাখে কিডনি। শরীরের পানি ও রক্তের অন্যান্য রাসায়নিক পদার্থ যেমন সোডিয়াম, পটাশিয়াম, ফসফরাস ও ক্যালসিয়ামের ভারসাম্যও বজায় রাখে। তাই সুস্থ দেহের জন্য সুস্থ কিডনি খুব দরকার। নিয়মিত কিছু স্বাস্থ্যকর অভ্যাস গড়ে তোলার মাধ্যমে কিডনি সুস্থ রাখা সম্ভব। জেনে নিন সেগুলো কী কী।
নিয়মিত শরীরচর্চা: নিয়মিত শরীরচর্চা যেকোনো রোগেরই ঝুঁকি কমায়, কিডনির অসুখও তার ব্যতিক্রম নয়। পাশাপাশি নিয়মিত শরীরচর্চা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ কিডনির সুস্থতার জন্য অত্যন্ত জরুরি। যারা শরীরচর্চা করার সুযোগ বা সময় পান না তাদের জন্য নিয়মিত হাঁটাহাটি, দৌড়-ঝাঁপ, সাঁতার কাটা বা সাইকেল চালানোর মতো অভ্যাস অত্যন্ত কার্যকর হতে পারে।
প্রতিদিন পরিমিত পরিমাণে (ছয়-আট গ্লাস) পানি পান করুন। এতে কিডনি ভালো থাকবে
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ: ডায়াবেটিস কিডনির সমস্যা ডেকে আনে। ডায়াবেটিসে যেহেতু রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যায়, তাই রক্ত পরিশুদ্ধ করতে কিডনিকে বেশি কাজ করতে হয়। এ কারণেই কিছুক্ষণ পর পর মূত্র ত্যাগের প্রবণতা দেখা যায়।
ধূমপান কমানো: ধূমপান শুধু ফুসফুস নয়, কিডনিরও ক্ষতি করে। ধূমপানের ফলে রক্তনালীর ক্ষতি হয় ও দেহে রক্ত সঞ্চালনে সমস্যা তৈরি হয়। যা কিডনির উপর মারাত্মক চাপ তৈরি করে। এ ছাড়া ধূমপান কিডনির ক্যানসারের আশঙ্কাও বৃদ্ধি করে।
নিয়মিত শরীরচর্চা যেকোনো রোগেরই ঝুঁকি কমায়, কিডনির অসুখও তার ব্যতিক্রম নয়
পর্যাপ্ত পানি পান: কিডনির স্বাস্থ্য ভালো রাখতে পানি খেতে হবে এ কথা সবাই জানেন, কিন্তু বাস্তবে দেখা যায় যে অনেকেই পরিমিত পরিমাণে পানি পান করেন না। দিনে অন্তত দুই থেকে আড়াই লিটার পানি পান করা দরকার। তবে আবহাওয়া কিংবা জীবনচর্চার ওপর ভিত্তি করে এই পরিমাণ বদলে যেতে পারে।
খেয়াল খুশি মতো ওষুধ খাওয়া বন্ধ করা: পেট ব্যথা থেকে সর্দিকাশি, চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ খেতে বাঙালি সিদ্ধহস্ত। কিন্তু অধিকাংশ প্রদাহনাশক ওষুধ অনিয়ন্ত্রিতভাবে প্রয়োগ করলে কিডনির উপর ক্ষতিকর প্রভাব পড়তে পারে। ব্যথা, মাথা যন্ত্রণা বা আর্থরাইটিসের ওষুধ চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া খেলে কিডনির ক্ষতি হতে পারে। তাই বিনা কারণে ব্যথানাশক ওষুধ খাবেন না। আর পরিবারে কিডনি রোগের ইতিহাস থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী পরীক্ষা করা উচিত।
খবর সারাবেলা / ১৩ মার্চ ২০২২ / এমএম