ওজন কমাতে না খেয়ে থাকছেন
আজকাল ডায়েট বা ওজন নিয়ন্ত্রণ করছেন যারা তারা মনে করেন উপোস করাটাই ওজন নিয়ন্ত্রণের গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার। কারণ আজকাল খুব সহজেই খাবার চলে আসে আপনার খাবার টেবিলে, মুভি নাইটের আসরে। অনলাইনে অর্ডার করলেই হলো। অনেকে যুক্তি দেন, না জেনেই আমরা রোজ রোজ প্রচুর ক্যালোরি শরীরে গ্রহণ করি যে হারে, সেই অনুপাতে কিন্তু ব্যায়াম বা হাঁটাচলা আমরা করিনা। যেহেতু খাবারের সঙ্গে লড়াই করতেই হবে তাই মাঝেমধ্যে উপোস করাই যায়।
মাঝেমধ্যে খাবার না খেলে বা কম খেলে শরীরে তেমন ক্ষতি হয়না। কিন্তু ওজন কমানোর চিন্তা থেকেই আবার খুব বেশি কম খেয়ে ফেলছেন না তো? বিভিন্ন ধর্মে ফাস্টিং-এর মাধ্যমে দেহের অভ্যন্তরীণ সিস্টেম বিশ্রাম পায়। ফলে ১২ থেকে ১৪ ঘণ্টা না খেয়েই থাকেন অনেকে।
তবে ওজন কমানোর ক্ষেত্রে কিভাবে বুঝবেন আপনি খাবারে অনিয়ম করছেন? আসুন দেখে নেওয়া যাক।উপোস ভাঙার পর ফল, ফলের রস, নিরামিষ সুপ খেতে পারেন
গ্যাসের সমস্যা হলে
উপোসের ফলে যদি আপনার গ্যাস হয় তাহলে বুঝবেন এই উপোস আপনার সহ্য হচ্ছে না। অনেকক্ষণ পানি না খেলে শরীর ডিহাইড্রেটেড হয়। এতে গ্যাস ও নানাবিধ সমস্যা হয়।
উপোস ভেঙে ভারি খাবারকে না
উপোস ভাঙার পর কোনোমতেই ভারি খাবার কিংবা ভাজাপোড়া খাওয়া যাবে না। প্রথমে অল্প অল্প করে পানি খেয়ে নিন। ফল, ফলের রস, নিরামিষ সুপ খেতে পারেন। ভারি খাবার খাবেন আরো পরে। আপনার শরীরকে উপোস ভাঙার প্রাথমিক অবস্থার সাথে সয়ে নিতে দিন। হালকা রান্না খাবেন বেশি।
ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং করেন যারা
রাত আটটার মধ্যে খাবার খেয়ে নিন। আটটার ভেতর খাবার খেয়ে নিতে পারলে অন্তত ঠিকমতো ঘুমিয়ে গেলে পরদিন সকাল আটটা পর্যন্ত কিছুই খেতে হবে না। এতে আপনার ফাস্টিং হবে কষ্ট ছাড়া।
উপোস করে দুর্বল লাগলে বা বমি বমি ভাব কাজ করলে না করাই ভালো
কখন উপোস করবেন না জানুন
কখন কখন উপোস করবেন না জানুন। যেমন,
যাদের ডায়াবেটিস বা হাইপারটেনশনের সমস্যা আছে তাদের ফাস্টিং না করাই ভালো।গ্যাস্ট্রিক বা পেপটিক আলসারে আক্রান্তরা ফাস্টিং করতে চাইলে ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া উচিতশরীর বেশি ডিহাইড্রেটেড হলে।উপোস করার পর দুর্বল লাগলে বা বমি বমি ভাব কাজ করলে।
খবর সারাবেলা / ১৭ আগস্ট ২০২২ / এমএম